কুড়িগ্রামে ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপদসীমার নিচে

  • Update Time : ০৬:২০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / 156

জেলা প্রতিনিধি

নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ধরলা ও দুধকুমারের পানি নেমে গেছে বিপদসীমার নিচে। তবে সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলের নিচু এলাকার অনেক ঘরবাড়ি এখনও নিমজ্জিত রয়েছে। কারো-কারো বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও বসবাসের উপযোগী হয়নি। দেখা দিয়েছে রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, গবাদীপশুর খাদ্য সংকট। চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রামের ১৮ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির বীজতলা, সবজি, কলা ও পাট ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ অথবা সীমিত করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, এখন পর্যন্ত ৩৬৩ টন চাল ও ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রোববার পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুড়িগ্রামে ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপদসীমার নিচে

Update Time : ০৬:২০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি

নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ধরলা ও দুধকুমারের পানি নেমে গেছে বিপদসীমার নিচে। তবে সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলের নিচু এলাকার অনেক ঘরবাড়ি এখনও নিমজ্জিত রয়েছে। কারো-কারো বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও বসবাসের উপযোগী হয়নি। দেখা দিয়েছে রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, গবাদীপশুর খাদ্য সংকট। চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রামের ১৮ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির বীজতলা, সবজি, কলা ও পাট ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ অথবা সীমিত করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, এখন পর্যন্ত ৩৬৩ টন চাল ও ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রোববার পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।