কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
- Update Time : ০২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
- / 161
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারে তের লাখ ইয়াবা টেবলেট পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩’র ব্লক এইস-১৬’র মোঃ বশির আহমদের ছেলে মোঃ আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ হাজীপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৭), খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতরা সকলে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১৫’র একটি টিম অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রীজের রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো: আয়াজ ও মো: বিল্লালকে গ্রেফতার করে। তখন র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪-৫ জন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার ৯ হাজার নগদ টাকা এবং ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ নায়েব সুবেদার মোঃ হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত ২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় আটককৃত আসামি মো: আয়াজ ও মো: বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দিতে তারা পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫’র এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশীট প্রদান করেন। পরবর্তীতে মামলাটির সাক্ষী, তথ্য-উপাত্ত প্রমাণিত হওয়ায় আজ আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।