কোরবানির পশুর দুধ পান করা হালাল নাকি হারাম?
- Update Time : ০৪:০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
- / 286
বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে এসে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু ঢা নিয়ে আসা শুরু হয়েছে। এখনও হাট না বসলেও ঈদের আর বেশিদিন বাকি না থাকায় অনেকেই কোরবানির পশু কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পবিত্র ঈদ-উল-আজহায় কোরবানির জন্য অনেকেই গাভী গরু কিনে থাকেন। ভাগ্যক্রমে কোরবানির জন্য কেনা ওই গাভীর ওলানে যদি দুধ থাকে, তাহলে তা পান করা যাবে নাকি সেটা অনেকেরই অজানা। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো কোরবানির জন্য কেনা গাভী গরুর দুধ পান করা যাবে না।
যদি কোরবানির জন্য কেনা গাভী গরুর দুধ কেউ পান করেই ফেলে, তাহলে ওই দুধের মূল্য পরিমাণ অর্থ গরিবদের সদকা করে দিতে হবে।
যদি বোঝা যায় যে কোরবানির জন্য কেনা গাভী গরুর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না, তাহলে দোহন না করা। প্রয়োজন হলে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেওয়া উচিত। এতে দুধের চাপ কমে যায়।
কিন্তু যদি দোহন না করলে পশুটির কষ্ট হবে বলে মনে হয়, তাহলে দোহন করে ওই দুধ সদকা করে দিতে হবে। আর ওই দুধ নিজে পান করলে তার মূল্য সদকা করবে।
তথ্যসূত্র: মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯ ও ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০১