আ.লীগের ত্রাণ উপকমিটির করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
- Update Time : ০৩:২১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
- / 202
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভ্যাকসিন নিয়ে অপরাজনীতি করে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন লকডাউন নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রীর মধ্যে ছিল কেএন ৯৫ মাস্ক, উন্নতমানের সার্জিক্যাল মাস্ক, উন্নতমানের কাপড়ের মাস্ক, বিশেষ ধরনের কেমিক্যালযুক্ত এন্টিসেপটিক সাবান, ও গুনগতমানসম্পন্ন স্যানিটাইজার। সচেতনতা কাযক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের হাতে এ সকল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির দ্বিচারিতামূলক বক্তব্য মানুষের ঘরে অবস্থানকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। তাহলে কি বিএনপি চায় না করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসুক?’
‘দেশে গণতন্ত্র নেই’, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে কী ভূমিকা পালন করেছে? পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক চর্চা করে তারা এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে। শেখ হাসিনা সরকার কোনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হস্তক্ষেপ করে না। দেশের বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’
বিএনপি এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা এবং দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলো উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার যে সংগ্রাম তা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় সফল হবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি যতই পেছন থেকে দেশের এগিয়ে যাওয়াকে টেনে ধরে রাখতে চেষ্টা করুক, কিন্তু সফল হবে না। কারণ জনগণ এখন উন্নয়নমুখী। জনগণ বিএনপির পশ্চাৎমুখী রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ আগামী বির্নিমাণের রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অসহায় মানুষের জন্য ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনা সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার কাজ শুরু করেছে। কারণ জনগণের জন্যই রাজনীতি করেন শেখ হাসিনা। তাই জনগণের স্বার্থে কখন কী করতে হবে তা বঙ্গবন্ধুকন্যা ভালই বোঝেন , আর এজন্যই তিনি আজ দেশের জনগণের আস্থার ঠিকানা ও নির্ভরতার বাতিঘর।’
অপরদিকে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের অসহায়ত্ব নিয়ে রাজনৈতিক বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তারা জনগণকে ভয় পায় বলেই জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস হারিয়েছে।’
‘দেশকে বিএনপিশূন্য করাই সরকারের লক্ষ্য’- বিএনপি নেতাদের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিশূন্য করা নয়, সরকার চায় বিএনপি সত্যিকার অর্থে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুক। বিএনপি সহিংসতা, ষড়যন্ত্র আর অপরাজনীতি ছেড়ে জনমানুষের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসবে, সেটিই প্রত্যাশা।’
তিনি বলেন, ‘অপরিণামদর্শী ও জনবিরোধী কর্মসূচির কারণেই বিএনপির রাজনীতি এখন গভীর সাগরে রাডারবিহীন জলযানের মত। তারা এখন পথহারা পথিক।