ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

  • Update Time : ০৯:০৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 67

দেশ ও বিদেশ থেকে ছড়ানো ভুয়া তথ্য, গুজব ও ফেক নিউজ প্রতিরোধে জাতিসংঘের কার্যকর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনেসকোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

ইউনেসকোর বাংলাদেশ প্রধান সুসান ভাইজ এবং ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড জার্নালিস্ট সেফটি বিভাগের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ইউনূস বলেন, “আমরা একটি বড় সমস্যার মুখোমুখি—ভুয়া তথ্যের অবিরাম বোমাবর্ষণ চলছে। এগুলো শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়, মূলধারার প্রচারমাধ্যম থেকেও ছড়াচ্ছে।”

বিতর্কিত মন্তব্যে চাকরিচ্যুত ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি

তিনি জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সরকারের পাশাপাশি আপনারা গণমাধ্যমের সঙ্গেও কাজ করুন। যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, তাদের মনে করিয়ে দিন—তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। জাতিসংঘের কণ্ঠ বিশ্বজুড়ে গুরুত্ব বহন করে। আমাদের আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।”

সাক্ষাৎ হয় ইউনেসকো ও ইউএনডিপির যৌথভাবে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন “বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রেক্ষাপট মূল্যায়ন: মুক্ত, স্বাধীন ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের ওপর গুরুত্ব” প্রকাশের একদিন আগে।

ইউনেসকোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ জানান, বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু সুপারিশ থাকবে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হবে।

মেহদি বেনশেলাহ বলেন, “সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং বিশেষভাবে নারী সাংবাদিকদের সুরক্ষা—এগুলো এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। সরকারি সিদ্ধান্তগুলো এসব বিষয়ের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।”

প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির SIPS প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনেসকোর গণমাধ্যম উন্নয়ন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা ম্যান্ডেট অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

Update Time : ০৯:০৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

দেশ ও বিদেশ থেকে ছড়ানো ভুয়া তথ্য, গুজব ও ফেক নিউজ প্রতিরোধে জাতিসংঘের কার্যকর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনেসকোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

ইউনেসকোর বাংলাদেশ প্রধান সুসান ভাইজ এবং ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড জার্নালিস্ট সেফটি বিভাগের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ইউনূস বলেন, “আমরা একটি বড় সমস্যার মুখোমুখি—ভুয়া তথ্যের অবিরাম বোমাবর্ষণ চলছে। এগুলো শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়, মূলধারার প্রচারমাধ্যম থেকেও ছড়াচ্ছে।”

বিতর্কিত মন্তব্যে চাকরিচ্যুত ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি

তিনি জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সরকারের পাশাপাশি আপনারা গণমাধ্যমের সঙ্গেও কাজ করুন। যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, তাদের মনে করিয়ে দিন—তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। জাতিসংঘের কণ্ঠ বিশ্বজুড়ে গুরুত্ব বহন করে। আমাদের আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।”

সাক্ষাৎ হয় ইউনেসকো ও ইউএনডিপির যৌথভাবে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন “বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রেক্ষাপট মূল্যায়ন: মুক্ত, স্বাধীন ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের ওপর গুরুত্ব” প্রকাশের একদিন আগে।

ইউনেসকোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ জানান, বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু সুপারিশ থাকবে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হবে।

মেহদি বেনশেলাহ বলেন, “সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং বিশেষভাবে নারী সাংবাদিকদের সুরক্ষা—এগুলো এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। সরকারি সিদ্ধান্তগুলো এসব বিষয়ের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।”

প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির SIPS প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনেসকোর গণমাধ্যম উন্নয়ন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা ম্যান্ডেট অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।