লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক হবে?

  • Update Time : ১১:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • / 85

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সফরকালে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকের সংবাদ সম্মেলনেও জানতে চাওয়া হয়েছিল তাদের বৈঠকের বিষয়ে।

উত্তরে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার যাদের সঙ্গে বৈঠক বা দেখা হতে পারে, তা বিস্তারিত জানিয়েছি, কোনো লুকোছাপা করি নাই। আমার কাছে অন্তত এ বিষয়ে কোনো তথ্য নাই।”

আগামী ১০ থেকে ১৩ জুন যুক্তরাজ্যে দ্বিপক্ষীয় সফরে করবেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। ৯ জুন দেশ থেকে রওনা করবেন, ফিরবেন ১৪ জুন।

আনুষ্ঠানিকভাবে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সূচি এখনও ঠিক না হলেও এ নিয়ে ‘সম্ভাবনার’ কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তারেক রহমান বা বিএনপির দিক থেকে আগ্রহ দেখালে তাদের বৈঠক হতে পারে। সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বৈঠকের ব্যবস্থা করবে।

যা আছে ইউনূসের সফরসূচিতে

সফরের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

“আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে যুক্তরাজ্যের রাজার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে রাজা চার্লসের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি একটি সম্মানজনক কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।”

সফরকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে প্রধান উপদেষ্টার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারের নীতি নির্ধারণী শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গেও প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বাইরে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১১ জুন লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে একটি বিশেষ আলোচনায় অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।

রুহুল আলম বলেন, মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যময় ও টেকসই পৃথিবী বিনির্মাণের চলমান প্রচেষ্টায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস এ বছরের সম্মানজনক ‘কিংস চার্লস থার্ড হার্মোনি অ্যাওয়ার্ডের’ জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে মনোনীত করেছেন।

“আগামী ১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস’স প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।”

দ্য কিংস ফাউন্ডেশনের দেওয়া এই পুরস্কার ২০২৪ সালে পেয়েছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্য কিংস ফাউন্ডেশন ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১১ জুন সন্ধ্যায় একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছে। প্রধান উপদেষ্টা এই নৈশভোজেও যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থার দুই মহাসচিবের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের তথ্য দেন তিনি।

যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নে রুহুল আলম বলেন, “আমরা পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য সব দেশের সঙ্গে একসাথে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

“সে চেষ্টার অংশ হিসেবে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের সাথেও আমরা পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে চাচ্ছি। এ পর্যায়ে আমরা হয়ত বিষয়টি তাদের কাছে উপস্থাপন করব।”

আসামীদের ফেরানোর বিষয়ে সহায়তা চাওয়া বিষয়ক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের এই মুহূর্তে প্রধান বিষয়টি হচ্ছে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার বা পুনরুদ্ধার। আমরা ব্যক্তির বিষয়ে যত না বেশি পদক্ষেপ নিয়েছি বা নিচ্ছি, তার চেয়ে পাচার হয়ে পাওয়া উদ্ধার করাটাই বেশি জরুরি বলে মনে করছি। এর চেয়ে বেশি আমার কাছে কোনো তথ্য নাই।”

মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত সফরকে সরকারি সফরে রূপ দেওয়া হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সরকারি সফর কিন্তু আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বলছি না। যেখানে প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন, তাদের পক্ষ থেকেই এটিকে সরকারি সফর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

“যেটাকে সরকারি সফর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাকে ব্যক্তিগত সফর বলার বিষয় কীভাবে আসে, আমার সেটা জানা নেই।”

যুক্তরাজ্য সফর সামনে রেখে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক।

তাদের বৈঠকের তথ্য দিয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশন বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরের আগে বুধবার তার সঙ্গে দেখা করেছেন হাই কমিশনার সারাহ কুক।

“যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের বিস্তৃত বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা সাড়াদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা জোরদার করা।”

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সামগ্রিকভাবে, এই সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো গভীর ও সুসংহত করবে।

“বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে। দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এবং চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক হবে?

Update Time : ১১:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সফরকালে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকের সংবাদ সম্মেলনেও জানতে চাওয়া হয়েছিল তাদের বৈঠকের বিষয়ে।

উত্তরে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার যাদের সঙ্গে বৈঠক বা দেখা হতে পারে, তা বিস্তারিত জানিয়েছি, কোনো লুকোছাপা করি নাই। আমার কাছে অন্তত এ বিষয়ে কোনো তথ্য নাই।”

আগামী ১০ থেকে ১৩ জুন যুক্তরাজ্যে দ্বিপক্ষীয় সফরে করবেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। ৯ জুন দেশ থেকে রওনা করবেন, ফিরবেন ১৪ জুন।

আনুষ্ঠানিকভাবে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সূচি এখনও ঠিক না হলেও এ নিয়ে ‘সম্ভাবনার’ কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তারেক রহমান বা বিএনপির দিক থেকে আগ্রহ দেখালে তাদের বৈঠক হতে পারে। সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বৈঠকের ব্যবস্থা করবে।

যা আছে ইউনূসের সফরসূচিতে

সফরের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

“আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে যুক্তরাজ্যের রাজার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে রাজা চার্লসের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি একটি সম্মানজনক কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।”

সফরকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে প্রধান উপদেষ্টার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারের নীতি নির্ধারণী শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গেও প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বাইরে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১১ জুন লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে একটি বিশেষ আলোচনায় অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।

রুহুল আলম বলেন, মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যময় ও টেকসই পৃথিবী বিনির্মাণের চলমান প্রচেষ্টায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস এ বছরের সম্মানজনক ‘কিংস চার্লস থার্ড হার্মোনি অ্যাওয়ার্ডের’ জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে মনোনীত করেছেন।

“আগামী ১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস’স প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।”

দ্য কিংস ফাউন্ডেশনের দেওয়া এই পুরস্কার ২০২৪ সালে পেয়েছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্য কিংস ফাউন্ডেশন ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১১ জুন সন্ধ্যায় একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছে। প্রধান উপদেষ্টা এই নৈশভোজেও যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থার দুই মহাসচিবের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের তথ্য দেন তিনি।

যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নে রুহুল আলম বলেন, “আমরা পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য সব দেশের সঙ্গে একসাথে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

“সে চেষ্টার অংশ হিসেবে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের সাথেও আমরা পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে চাচ্ছি। এ পর্যায়ে আমরা হয়ত বিষয়টি তাদের কাছে উপস্থাপন করব।”

আসামীদের ফেরানোর বিষয়ে সহায়তা চাওয়া বিষয়ক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের এই মুহূর্তে প্রধান বিষয়টি হচ্ছে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার বা পুনরুদ্ধার। আমরা ব্যক্তির বিষয়ে যত না বেশি পদক্ষেপ নিয়েছি বা নিচ্ছি, তার চেয়ে পাচার হয়ে পাওয়া উদ্ধার করাটাই বেশি জরুরি বলে মনে করছি। এর চেয়ে বেশি আমার কাছে কোনো তথ্য নাই।”

মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত সফরকে সরকারি সফরে রূপ দেওয়া হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সরকারি সফর কিন্তু আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বলছি না। যেখানে প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন, তাদের পক্ষ থেকেই এটিকে সরকারি সফর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

“যেটাকে সরকারি সফর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাকে ব্যক্তিগত সফর বলার বিষয় কীভাবে আসে, আমার সেটা জানা নেই।”

যুক্তরাজ্য সফর সামনে রেখে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক।

তাদের বৈঠকের তথ্য দিয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশন বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরের আগে বুধবার তার সঙ্গে দেখা করেছেন হাই কমিশনার সারাহ কুক।

“যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের বিস্তৃত বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা সাড়াদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা জোরদার করা।”

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সামগ্রিকভাবে, এই সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো গভীর ও সুসংহত করবে।

“বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে। দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এবং চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”