তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়: যুক্তরাষ্ট্র
- Update Time : ০৯:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
- / 33
যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো জানিয়েছেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। ২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস উপলক্ষে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা নিয়েও কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ম্যাকেঞ্জি রো।
যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সামনে হয়তো আরও রোহিঙ্গাকে নেয়া হবে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক সহায়তাকে বাধাগ্রস্ত করে, এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আছে। তাই আমাদের সহায়তা যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তারা যেন পান, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি।
মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র বলে দাবি করে ম্যাকেঞ্জি রো জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও জাতিগত নিধনের ফলে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। ২০১৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তা প্রায় ২৪০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। এই তহবিলের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র ১৯০ কোটি ডলার দিয়েছে।
অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা নিয়ে ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর জবাবদিহি নিশ্চিত করাটা আইনের শাসন দ্বারা চিহ্নিত একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের অপরিহার্য ভিত্তি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।