দুই-এক মাসের মধ্যেই রিজার্ভ চুরির চার্জশিট দেয়া হবে
- Update Time : ০৩:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
- / 56
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ও চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
রোববার (২ জুন) রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি সদরদপ্তরে আয়োজিত অবৈধ অর্থ স্থানান্তর এবং অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত গবেষণা ফলাফলের প্রচার ও দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোপূর্বে মাদকের সেবনকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে। আমরা স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের যত অর্থ-সম্পদ আছে সেগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কোনটা ফ্রিজ করেছি, আবার কোনটা সিজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মানব পাচার তদন্ত সেল রয়েছে। সেটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এই সেলের একটি ব্রাঞ্চ বিমানবন্দরে রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিজেক্টেড হয়, রিপোর্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের সমস্ত ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এছাড়াও কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা দায়ের করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, গত পরশুদিন মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে বিমানবন্দরে আমরা যেটা দেখেছি তার বিষয়ে যদি কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করেন তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা শুধু পাচার মামলা নয়, এর পাশাপাশি অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানো বা অবৈধভাবে অর্থ আয় করে হস্তান্তর করেছে সেগুলো আমরা মানি লন্ডারিং আইনে মামলার আওতায় নিয়ে আসব।
গত এক বছরে কী পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এবিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কাছে তথ্য নেই। এটাতো বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারি, মানিলন্ডারিং রিলেটেড যেসব মামলা হয়েছে সেগুলোর ডাটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক উদ্ধার করেছি।