সিলেটে গ্যাসক্ষেত্রে তেলের সন্ধান, বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

  • Update Time : ১১:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / 59

খুঁজতে গেলো গ্যাস, সেই কূপে মিললো জ্বালানী তেল। সিলেটের তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলায় বাঘের সড়ক এলাকায় কূপটির অবস্থান। সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এখানে সবচেয়ে বেশি তেলের চাপ। প্রায় ৬ হাজার পিএসআই গ্যাসের চাপ পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি, এটি হবে বাংলাদেশের তেল আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর একটি প্রোজেক্ট। যেই চাপে তেল উঠছে, সেটা এখন বুঝা যায়। কিন্তু আরও পরিষ্কার হবার জন্য রিজার্ভ দেখে তারপর অনুমান করা যাবে। সেজন্য অন্তত দুই মাস লাগতে পারে।

সম্ভাব্য হিসাবের অংক বলছে ২০ বছর ধরে এই কূপ থেকে তেল উৎপাদন সম্ভব হবে। উৎপাদিত ক্রুড অয়েল প্রক্রিয়াজাত করে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন মিলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই কূপ থেকে ৬ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন করা যাবে। যার আর্থিক মূল্য ৭ হাজার কোটি টাকা। আর গ্যাস মিলবে ৪ হাজার ৩শ’ লাখ ঘনফুট। যার আর্থিক মূল্য ৮ হাজার কোটি টাকা। আবার এই গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট রূপান্তর করেও জ্বালানি তেল পাওয়া যাবে।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, কখনোই এই আবিষ্কৃত তেলগুলোকে সমন্বিতভাবে নিয়ম অনুযায়ী উন্নয়নের দিকে কার্যকর করা হয়নি। তবে সুযোগ রয়েছে। তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রে যদি জোর দেয়া হয় এবং উন্নয়নে কাজ করি, তাহলে, কিন্তু বাংলাদেশে যে পরিমাণ তেল উৎপাদন হয় এখন, তার চেয়ে অনেক বেশি তেল উৎপাদন হতে পারে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পরিহার করে দ্রুত খনি উন্নয়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। এর আগে ১৯৮৬ সালে সিলেটের হরিপুরে তেলের খনি পাওয়া গিয়েছিল। যার স্থায়িত্ব ছিল ৫ বছর।

Please Share This Post in Your Social Media


সিলেটে গ্যাসক্ষেত্রে তেলের সন্ধান, বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

Update Time : ১১:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

খুঁজতে গেলো গ্যাস, সেই কূপে মিললো জ্বালানী তেল। সিলেটের তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলায় বাঘের সড়ক এলাকায় কূপটির অবস্থান। সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এখানে সবচেয়ে বেশি তেলের চাপ। প্রায় ৬ হাজার পিএসআই গ্যাসের চাপ পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি, এটি হবে বাংলাদেশের তেল আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর একটি প্রোজেক্ট। যেই চাপে তেল উঠছে, সেটা এখন বুঝা যায়। কিন্তু আরও পরিষ্কার হবার জন্য রিজার্ভ দেখে তারপর অনুমান করা যাবে। সেজন্য অন্তত দুই মাস লাগতে পারে।

সম্ভাব্য হিসাবের অংক বলছে ২০ বছর ধরে এই কূপ থেকে তেল উৎপাদন সম্ভব হবে। উৎপাদিত ক্রুড অয়েল প্রক্রিয়াজাত করে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন মিলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই কূপ থেকে ৬ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন করা যাবে। যার আর্থিক মূল্য ৭ হাজার কোটি টাকা। আর গ্যাস মিলবে ৪ হাজার ৩শ’ লাখ ঘনফুট। যার আর্থিক মূল্য ৮ হাজার কোটি টাকা। আবার এই গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট রূপান্তর করেও জ্বালানি তেল পাওয়া যাবে।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, কখনোই এই আবিষ্কৃত তেলগুলোকে সমন্বিতভাবে নিয়ম অনুযায়ী উন্নয়নের দিকে কার্যকর করা হয়নি। তবে সুযোগ রয়েছে। তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রে যদি জোর দেয়া হয় এবং উন্নয়নে কাজ করি, তাহলে, কিন্তু বাংলাদেশে যে পরিমাণ তেল উৎপাদন হয় এখন, তার চেয়ে অনেক বেশি তেল উৎপাদন হতে পারে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পরিহার করে দ্রুত খনি উন্নয়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। এর আগে ১৯৮৬ সালে সিলেটের হরিপুরে তেলের খনি পাওয়া গিয়েছিল। যার স্থায়িত্ব ছিল ৫ বছর।