ইসরাইলি হামলায় গাজায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০২:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / 115

বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই নিপীড়িতদের পক্ষে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়?

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।

আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ।

অভিভাবকদের উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘মেধা-মননের সুযোগ যাতে শিশুরা পায়, পড়াশোনার নামে চাপ তৈরি করবেন না। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি।

‘আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছল মেধাবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। দর্শকসারিতে বসে উপভোগ করেন শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ‘এক তর্জনির নির্দেশ, স্বাধীন হলো বাংলাদেশ’।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইসরাইলি হামলায় গাজায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০২:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই নিপীড়িতদের পক্ষে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়?

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।

আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ।

অভিভাবকদের উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘মেধা-মননের সুযোগ যাতে শিশুরা পায়, পড়াশোনার নামে চাপ তৈরি করবেন না। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি।

‘আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছল মেধাবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। দর্শকসারিতে বসে উপভোগ করেন শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ‘এক তর্জনির নির্দেশ, স্বাধীন হলো বাংলাদেশ’।