নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএসএমএমইউ উপাচার্য

  • Update Time : ০২:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / 103

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মচারীরা।

আজ শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে উপাচার্যের নিজ কার্যালয়ের সামনে কর্মচারী নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে শারফুদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী।

এদিকে, কর্মচারী নেতা দিপু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে তার রুমে অবরুদ্ধ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমরা একটি কর্মচারী নীতিমালা চাচ্ছি। বর্তমান প্রশাসন গত তিন বছর ধরে টালবাহানা করে সময় পার করছে। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ২৮ মার্চ শেষ হবে। অথচ তিনি এখনও বলছেন তোমরা কাজে যাও আমি দেখব।’

উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা না রাখার অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমান উপাচার্যের সময়কালে সর্বশেষ সিন্ডিকেটের সভা আগামী ২০ তারিখ। সেটা সমস্ত অবৈধ কাজের মধ্যে করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে টালবাহানা।’

এদিকে, অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ অবরুদ্ধ হয়নি বলে দাবি করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত সুব্রত বিশ্বাস বলেন, একটা জটলা রয়েছে। কর্মচারীরা কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে স্যারের কাছে এসেছে। তবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্যারসহ আমাদের কার্যালয়ে লোকজন আসা যাওয়া করছে।

অন্যদিকে, জনসংযোগ বিভাগের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরতরা জানান, উপাচার্য ভেতরে আছেন। আমরা এখানে ৪০০-৫০০ জন কর্মচারী অবস্থান করছি। জনসংযোগ বিভাগ টাকা খেয়ে ভিসির অনৈতিক কাজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএসএমএমইউ উপাচার্য

Update Time : ০২:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মচারীরা।

আজ শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে উপাচার্যের নিজ কার্যালয়ের সামনে কর্মচারী নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে শারফুদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী।

এদিকে, কর্মচারী নেতা দিপু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে তার রুমে অবরুদ্ধ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমরা একটি কর্মচারী নীতিমালা চাচ্ছি। বর্তমান প্রশাসন গত তিন বছর ধরে টালবাহানা করে সময় পার করছে। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ২৮ মার্চ শেষ হবে। অথচ তিনি এখনও বলছেন তোমরা কাজে যাও আমি দেখব।’

উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা না রাখার অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমান উপাচার্যের সময়কালে সর্বশেষ সিন্ডিকেটের সভা আগামী ২০ তারিখ। সেটা সমস্ত অবৈধ কাজের মধ্যে করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে টালবাহানা।’

এদিকে, অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ অবরুদ্ধ হয়নি বলে দাবি করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত সুব্রত বিশ্বাস বলেন, একটা জটলা রয়েছে। কর্মচারীরা কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে স্যারের কাছে এসেছে। তবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্যারসহ আমাদের কার্যালয়ে লোকজন আসা যাওয়া করছে।

অন্যদিকে, জনসংযোগ বিভাগের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরতরা জানান, উপাচার্য ভেতরে আছেন। আমরা এখানে ৪০০-৫০০ জন কর্মচারী অবস্থান করছি। জনসংযোগ বিভাগ টাকা খেয়ে ভিসির অনৈতিক কাজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।