বর্ণিল আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

  • Update Time : ১১:১৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 272

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মাত্র কয়েক প্রহর পরই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ জনসাধারণ। সেই লক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে দেখে গেছে, সৌধ প্রাঙ্গণের মূল ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত লাল, সবুজ ও নীল আলোকবাতি দিয়ে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে। সৌধ এলাকার প্রতিটি স্থাপনা সাজানো হয়েছে আলোক সজ্জায়। সেইসঙ্গে এবার নতুন করে তৈরি করা হয়েছে উজ্জল ফটক। যা সবার নজর কাড়ছে প্রথম দেখাতেই।

এছাড়া সৌধ এলাকার অপর পাশে জয় রেস্তোরা, সেনা শপিং কমপ্লেক্স, সেনা অডিটোরিয়ামসহ সড়কের কিছু অংশে দেওয়া হয়েছে আলোকবাতি।

পুরো এলাকায় নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের বলয়ে দায়িত্বে থাকবেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

দিবসটি পালনে সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ এলাকাটি গণপূর্তের কয়েকশ কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে পেয়েছে এক নতুন রূপ। রংতুলির নতুন সাজে আর আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ধুয়েমুছে চকচকে করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ চত্বরের প্রতিটি স্থাপনা। সৌধে প্রবেশের প্রধান ফটকে এবার নতুনত্ব আনা হয়েছে। বড় করে বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়া হয়েছে।

স্মৃতিতসৌধ চত্বরের চারপাশের টবে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের রঙ্গিন ফুল আর পাতা বাহারের গাছ। নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, উচ্চমাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা হচ্ছে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডগ স্কোয়াড দিয়ে প্রত্যেকটি স্থানে তল্লাশি করা হচ্ছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধকে প্রায় এক মাস ধরে ধুয়েমুছে, রংতুলির আঁচড় ও রংবেরঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেই সঙ্গে স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সবার নিরাপত্তা ও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সকর্মকতামূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। গণপূর্ত বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সকল সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করে নবরূপে রূপদান করা হয়েছে। শীতকালীন ফুল নানা রকম বৃক্ষের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। ইতিমধ্যে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো সাভার উপজেলা, বিশেষ করে স্মৃতিসৌধ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসবেন। এই লক্ষ্যে সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রেখেছি। পাশাপাশি এলাকায় যে জনবসতি আছে তাদের নাগরিকত্ব ফরম দিয়েছি। নতুন কোনো লোকের এলাকায় প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


বর্ণিল আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

Update Time : ১১:১৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মাত্র কয়েক প্রহর পরই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ জনসাধারণ। সেই লক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে দেখে গেছে, সৌধ প্রাঙ্গণের মূল ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত লাল, সবুজ ও নীল আলোকবাতি দিয়ে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে। সৌধ এলাকার প্রতিটি স্থাপনা সাজানো হয়েছে আলোক সজ্জায়। সেইসঙ্গে এবার নতুন করে তৈরি করা হয়েছে উজ্জল ফটক। যা সবার নজর কাড়ছে প্রথম দেখাতেই।

এছাড়া সৌধ এলাকার অপর পাশে জয় রেস্তোরা, সেনা শপিং কমপ্লেক্স, সেনা অডিটোরিয়ামসহ সড়কের কিছু অংশে দেওয়া হয়েছে আলোকবাতি।

পুরো এলাকায় নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের বলয়ে দায়িত্বে থাকবেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

দিবসটি পালনে সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ এলাকাটি গণপূর্তের কয়েকশ কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে পেয়েছে এক নতুন রূপ। রংতুলির নতুন সাজে আর আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ধুয়েমুছে চকচকে করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ চত্বরের প্রতিটি স্থাপনা। সৌধে প্রবেশের প্রধান ফটকে এবার নতুনত্ব আনা হয়েছে। বড় করে বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়া হয়েছে।

স্মৃতিতসৌধ চত্বরের চারপাশের টবে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের রঙ্গিন ফুল আর পাতা বাহারের গাছ। নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, উচ্চমাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা হচ্ছে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডগ স্কোয়াড দিয়ে প্রত্যেকটি স্থানে তল্লাশি করা হচ্ছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধকে প্রায় এক মাস ধরে ধুয়েমুছে, রংতুলির আঁচড় ও রংবেরঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেই সঙ্গে স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সবার নিরাপত্তা ও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সকর্মকতামূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। গণপূর্ত বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সকল সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করে নবরূপে রূপদান করা হয়েছে। শীতকালীন ফুল নানা রকম বৃক্ষের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। ইতিমধ্যে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো সাভার উপজেলা, বিশেষ করে স্মৃতিসৌধ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসবেন। এই লক্ষ্যে সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রেখেছি। পাশাপাশি এলাকায় যে জনবসতি আছে তাদের নাগরিকত্ব ফরম দিয়েছি। নতুন কোনো লোকের এলাকায় প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।