আন্তর্জাতিক সংস্থা

ভয়েস অব মিডিয়ার বাংলাদেশ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন

  • Update Time : ০৬:০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 25

ভয়েস অব মিডিয়ার বাংলাদেশ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন

আন্তর্জাতিক সংস্থা ভয়েস অব মিডিয়ার বাংলাদেশ চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন শোভা। ভয়েস অব মিডিয়া সংস্থাটির মূলমন্ত্র হল- সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার উন্নয়ন। এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের কল্যাণে কাজ করতে চান ফারজানা ও তার টিম সদস্যরা।

“সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার জন্য লড়াই ( Fight for Journalist and Journalism) স্লোগানে বিশ্বাসী এই আন্তর্জাতিক সংস্থার বর্তমান হেড কোয়ার্টার ভারতের মুম্বাইতে। বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশে ৯৮টি দেশে পূর্ণাঙ্গ কমিটির মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের উন্নয়নে কাজ করছে ‘ভয়েস অব মিডিয়া’। গবেষণার মাধ্যমে, সংস্থাটি সাংবাদিকদের জন্য উদ্বেগের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের সার্বিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, সন্তানদের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অবসর-পরবর্তী পরিকল্পনা। ইতিবাচক সাংবাদিকতা অপরিহার্য, কারণ এটি জনমতের ভিত্তি তৈরি করে। এটি অর্জনের জন্য, ‘ভয়েস অফ মিডিয়া’ ধারাবাহিকভাবে দেশ ও জাতির সীমানা অতিক্রম করে কাজ করে যাচ্ছে যেন সাংবাদিকদের মাঝে গভীর নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে।

প্রিন্ট ও টেলিভিশন মাধ্যমে দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে ফারজানা শোভা পেয়েছেন অসংখ্য দেশি ও বিদেশী সংস্থার পুরষ্কার, ফেলোশীপ ও সম্মাননা। এরমধ্যে ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এওয়ার্ড, ভাসানী মেমোরিয়াল এওয়ার্ড ২০১২ , দ্যা ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশন জার্নালিস্ট এওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অধিকার নইয়ে সোচ্চার ফারজানা বিনতে হোসাইন পেয়েছেন, ভায়োলেন্স এগেইন্সট উইমেন এন্ড গার্লস এওয়ার্ড ২০১৮, মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড এবং জার্মান সংস্থা ডয়েচে ভেলের ‘ইয়োং মিডিয়া জার্নালিস্ট এওয়ার্ড।

ভয়েস অব মিডিয়ার বাংলাদেশ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন

এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন জার্নালিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক ফারজানা শোভা বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মত সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাব, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার, ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের অসংখ্য সংগঠনের স্থায়ী সদস্য।

সাংবাদিকতার প্রায় দু দশকে তিনি কাজ করেছেন বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো, শীর্ষ নিউজ চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, এসএ টেলিভিশন ও একুশে টেলিভিশনে। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ফারজানা বিনতে হোসাইন একজন ঝানু রাজনীতি বিশ্লেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দক্ষিন এশিয়ায় ভারত, নেপালসহ নানা দেশের গণমাধ্যমে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ৭৪ ও ৭৭তম জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশন , জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন, আন্তর্জাতিক খাদ্য সম্মেলন, এশিয়ান উন্নয়ন সামিটসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন।

তিনি জানান এসব অভিজ্ঞতা তার ভবিষ্যৎ দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে। ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত বিভিন্ন সমস্যা যেমন তাদের স্বাস্থ্য, তাদের সন্তানদের শিক্ষা, তাদের আবাসন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অবসর-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার দক্ষ প্লাটফর্ম ভয়েস অব মিডিয়া। এই প্রথম তাদের কাজের আওয়াত বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে। আমি চাই সাংবাদিকতার জন্য ইতিবাচক সাংবাদিকতা, প্রেসের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সাংবাদিকতা, গবেষণা এবং মিডিয়া উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবো। অতীতে সাংবাদিকতায় যেখানেই সমস্যা দেখা দিয়েছে, সমাধানের জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সহায়তায় এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছে ‘ভয়েস অব মিডিয়া’।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আন্তর্জাতিক সংস্থা

ভয়েস অব মিডিয়ার বাংলাদেশ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন

Update Time : ০৬:০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক সংস্থা ভয়েস অব মিডিয়ার বাংলাদেশ চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন শোভা। ভয়েস অব মিডিয়া সংস্থাটির মূলমন্ত্র হল- সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার উন্নয়ন। এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের কল্যাণে কাজ করতে চান ফারজানা ও তার টিম সদস্যরা।

“সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার জন্য লড়াই ( Fight for Journalist and Journalism) স্লোগানে বিশ্বাসী এই আন্তর্জাতিক সংস্থার বর্তমান হেড কোয়ার্টার ভারতের মুম্বাইতে। বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশে ৯৮টি দেশে পূর্ণাঙ্গ কমিটির মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের উন্নয়নে কাজ করছে ‘ভয়েস অব মিডিয়া’। গবেষণার মাধ্যমে, সংস্থাটি সাংবাদিকদের জন্য উদ্বেগের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের সার্বিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, সন্তানদের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অবসর-পরবর্তী পরিকল্পনা। ইতিবাচক সাংবাদিকতা অপরিহার্য, কারণ এটি জনমতের ভিত্তি তৈরি করে। এটি অর্জনের জন্য, ‘ভয়েস অফ মিডিয়া’ ধারাবাহিকভাবে দেশ ও জাতির সীমানা অতিক্রম করে কাজ করে যাচ্ছে যেন সাংবাদিকদের মাঝে গভীর নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে।

প্রিন্ট ও টেলিভিশন মাধ্যমে দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে ফারজানা শোভা পেয়েছেন অসংখ্য দেশি ও বিদেশী সংস্থার পুরষ্কার, ফেলোশীপ ও সম্মাননা। এরমধ্যে ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এওয়ার্ড, ভাসানী মেমোরিয়াল এওয়ার্ড ২০১২ , দ্যা ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশন জার্নালিস্ট এওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অধিকার নইয়ে সোচ্চার ফারজানা বিনতে হোসাইন পেয়েছেন, ভায়োলেন্স এগেইন্সট উইমেন এন্ড গার্লস এওয়ার্ড ২০১৮, মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড এবং জার্মান সংস্থা ডয়েচে ভেলের ‘ইয়োং মিডিয়া জার্নালিস্ট এওয়ার্ড।

ভয়েস অব মিডিয়ার বাংলাদেশ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন

এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন জার্নালিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক ফারজানা শোভা বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মত সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাব, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার, ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের অসংখ্য সংগঠনের স্থায়ী সদস্য।

সাংবাদিকতার প্রায় দু দশকে তিনি কাজ করেছেন বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো, শীর্ষ নিউজ চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, এসএ টেলিভিশন ও একুশে টেলিভিশনে। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ফারজানা বিনতে হোসাইন একজন ঝানু রাজনীতি বিশ্লেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দক্ষিন এশিয়ায় ভারত, নেপালসহ নানা দেশের গণমাধ্যমে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ৭৪ ও ৭৭তম জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশন , জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন, আন্তর্জাতিক খাদ্য সম্মেলন, এশিয়ান উন্নয়ন সামিটসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ফারজানা বিনতে হোসাইন।

তিনি জানান এসব অভিজ্ঞতা তার ভবিষ্যৎ দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে। ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত বিভিন্ন সমস্যা যেমন তাদের স্বাস্থ্য, তাদের সন্তানদের শিক্ষা, তাদের আবাসন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অবসর-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার দক্ষ প্লাটফর্ম ভয়েস অব মিডিয়া। এই প্রথম তাদের কাজের আওয়াত বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে। আমি চাই সাংবাদিকতার জন্য ইতিবাচক সাংবাদিকতা, প্রেসের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সাংবাদিকতা, গবেষণা এবং মিডিয়া উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবো। অতীতে সাংবাদিকতায় যেখানেই সমস্যা দেখা দিয়েছে, সমাধানের জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সহায়তায় এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছে ‘ভয়েস অব মিডিয়া’।