বাংলাদেশ প্রসঙ্গ কেন টানলেন ট্রাম্প?
- Update Time : ১০:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
- / 16
ভারতীয়-আমেরিকানদের ভোট পেতে যেন তাস চাললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ তুললেন, বাংলাদেশে নাকি হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে। আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় লাল হলেন। বললেন, তিনি ফের প্রেসিডেন্ট হলে ‘বন্ধু’ মোদির সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এভাবেই ট্রাম্প অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশকে টানলেন। হিতাহিত জ্ঞান হারানোর মতো বলেই ফেললেন, বাংলাদেশ নাকি এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে!
তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, কানাডায় শিখ নেতা হত্যার ব্যাপারে ট্রাম্প কিছুই বলেননি। অথচ এই ইস্যুতে ভারত-কানাডা কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। তাই প্রশ্ন উঠেছে, কেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আনলেন ট্রাম্প।
নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েকদিন। ভোটের রাজনীতি তো একটা কারণ হতেই পারে। কারণ, বেশিরভাগ হিন্দু ভোট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমালা হ্যারিসের পক্ষে চলে যেতে পারে। এই ভয় থেকে চতুর ট্রাম্প হিন্দু ভোটারদের তার দিকে টানার কৌশল হিসেবেই বাংলাদেশ নিয়ে বাগাড়ম্বর করলেন।
তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেভাবে কথা বলেছেন, তাতে বাংলাদেশ নিয়ে তার ভাবনার চিত্র ফুটে উঠেছে। ট্রাম্প নির্বাচনে জয় লাভ করলে বাংলাদেশের ব্যাপারে তার প্রশাসনের নীতি কী হবে তা অনেকটাই ধারণা করা যায়। এসব নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যেও বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, “বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে, সে বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কী ভাবছেন, তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শিগগিরই মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। তবে আমাদের কাজ হলো সবচেয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং যথাসম্ভব খোলামেলাভাবে সত্যটা তুলে ধরা।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করে শফিকুল আলম লিখেছেন, “আমরা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং সেগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জন করা হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির বলেছেন, “ট্রাম্পকে ফিড করা হয়েছে, অর্থাৎ তাকে এটি বোঝানো হয়েছে। নয়তো, তার এ ধরনের কথা বলার কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়ে যে সমস্ত শব্দ ব্যবহার করেছেন, এইগুলো খুবই শক্ত শব্দ।”