বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সাফল্যের ধারা অব্যাহত; ইপিএস প্রবৃদ্ধি ১৬০ শতাংশ

  • আপডেটের সময়: ০৬:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • / 25

গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটি সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) অর্জন করেছে ৫৭ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৫ পয়সা লোকসান ছিলো। যা বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৫) সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।

২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ফলাফলের এই উল্লেখযোগ্য উন্নতির মূল কারণ ছিল ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন হ্রাস পাওয়া এবং পূঁজিবাজারে বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর কৌশলগত পুনর্গঠনের ফলে অতিরিক্ত প্রভিশন সমন্বয়। এই পদক্ষেপগুলো কোম্পানির নীট মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে এবং এর ফলাফল কোম্পানির শক্তিশালী ব্যালান্স শীট ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর প্রতিফলন।

আর্থিক খাতে সার্বিক তারল্য সংকট, করপোরেট গ্রাহকদের অনিয়মিত ঋণ পরিশোধ এবং তহবিল ব্যয় বৃদ্ধির মতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি আর্থিক শৃঙ্খলা, ব্যয় দক্ষতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। কোম্পানিটি এসএমই ও রিটেইল খাতে ঋণ পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণের পাশাপাশি আমানত ভিত্তি আরও শক্তিশালী করা এবং প্রযুক্তি-নির্ভর সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে কার্যকরী দক্ষতা ও উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করছে।

ক্রমাগত উন্নতি এবং সুসংহত কৌশলগত পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি ভবিষ্যতেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার বিষয়ে আশাবাদী। কোম্পানি তার সকল অংশীজনের প্রতি স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সৃষ্টির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন


বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সাফল্যের ধারা অব্যাহত; ইপিএস প্রবৃদ্ধি ১৬০ শতাংশ

আপডেটের সময়: ০৬:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটি সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) অর্জন করেছে ৫৭ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৫ পয়সা লোকসান ছিলো। যা বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৫) সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।

২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ফলাফলের এই উল্লেখযোগ্য উন্নতির মূল কারণ ছিল ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন হ্রাস পাওয়া এবং পূঁজিবাজারে বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর কৌশলগত পুনর্গঠনের ফলে অতিরিক্ত প্রভিশন সমন্বয়। এই পদক্ষেপগুলো কোম্পানির নীট মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে এবং এর ফলাফল কোম্পানির শক্তিশালী ব্যালান্স শীট ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর প্রতিফলন।

আর্থিক খাতে সার্বিক তারল্য সংকট, করপোরেট গ্রাহকদের অনিয়মিত ঋণ পরিশোধ এবং তহবিল ব্যয় বৃদ্ধির মতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি আর্থিক শৃঙ্খলা, ব্যয় দক্ষতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। কোম্পানিটি এসএমই ও রিটেইল খাতে ঋণ পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণের পাশাপাশি আমানত ভিত্তি আরও শক্তিশালী করা এবং প্রযুক্তি-নির্ভর সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে কার্যকরী দক্ষতা ও উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করছে।

ক্রমাগত উন্নতি এবং সুসংহত কৌশলগত পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি ভবিষ্যতেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার বিষয়ে আশাবাদী। কোম্পানি তার সকল অংশীজনের প্রতি স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সৃষ্টির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।