জাহিদুল ইসলাম:

সাত কলেজের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি ও সংস্কার করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাতটি কলেজ। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যসমূহ শিরোনামে ৩০ টি বৈষম্যের নমুনা তুলে ধরেন। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন একাডেমিক ক্যালেন্ডার না থাকা, ক্লাসরুমের সংকট, পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়া সাথে সক্ষমতার বাইরে মাত্রাতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা ও চরম শিক্ষক সংকট ইত্যাদি বৈষম্যের ফলে নিজেদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান সাত কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এর সাথে উচ্চশিক্ষায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বৈষম্য ও সংকট নিরসনে স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব শিক্ষার্থীদের । এছাড়াও সংস্কার কমিশন গঠন এবং সেই সংস্কার কমিশন কীভাবে সাত কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রুপান্তর করা হবে তার রূপরেখা প্রদান করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাবে তারা।

এসময় সাত কলেজ সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের প্রধান দাবি সাত কলেজকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হোক। এর জন্য আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। তারা সাত কলেজকে কীভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় সবকিছু বিবেচনায় করে একটি সংস্কারমূলক সুপারিশ করবেন। সংস্কারের কাজ চলমান থাকবে অন্যদিকে সাত কলেজের ক্লাস পরীক্ষা চলমান থাকবে, কোন বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। আমরা এই সংস্কারের জন্য এক ঘণ্টার সেশন জট হোক এটা চাই না।

পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সাত কলেজের জন্য সংস্কার কমিশন গঠন না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। সংবাদ সম্মেলন সাত কলেজের সাতজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন ইডেন মহিলা কলেজের স্মৃতি আক্তার, বদরুনন্নেসা মহিলা কলেজের ইমু আক্তার, বাংলা কলেজের শাহরিয়ার, তিতুমীর কলেজের তসলিম, সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবরিনা, কবি নজরুল কলেজের জাকারিয়া ও ঢাকা কলেজের প্রতিনিধি তানভীর রহমান উপস্থিত ছিলেন।