সেশনজট নিরসন ও দ্রুত পরীক্ষাসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

  • Update Time : ১২:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
  • / 223

সাবাইম ইসলাম জীম, বুটেক্স প্রতিনিধি:

সেশনজট নিরসন এবং দ্রুত পরীক্ষাসহ ৫ দফা দাবিতে সম্মিলিত মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) অধিভুক্ত সকল সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে বুটেক্স অধিভুক্ত ৭ টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাস এবং এর আশেপাশের এলাকায় মানবন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

চট্টগ্রাম, পাবনা, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, বরিশাল, টাঙ্গাইল, নরসিংদী এবং গোপালগঞ্জে অবস্থিত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মসূচি।

৪ মাসে সেমিস্টার শেষ করা, সময়মতো রেজাল্ট, রুটিন ইত্যাদি প্রকাশ করা, দ্রুততম সময়ে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া, পরীক্ষার ফি কমানো, নিজেদের অধিকার রক্ষা ইত্যাদি দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল পালন করেন। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিসংবলিত বিভিন্ন ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিসমূহের ভিত্তিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অফিসিয়ালি মিটিং করে এজেন্ডা ও মিটিং পরবর্তী গৃহীত কার্যকর পদক্ষেপসমূহ স্মারক নম্বরসহ বিজ্ঞপ্তি আকারে দ্রুত DOT এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার দাবি জানান।

এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বর্জন করা হবে সকল অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা।

শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী “মোঃ মোক্তার হোসেন” বিডি সমাচার ২৪ কে জানান, “আমাদের অধিভুক্ত কলেজগুলোর বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সময় পেরিয়ে গেলেও স্নাতক শেষ না হওয়ায় পরিবারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। লেখাপড়া শেষ করে সন্তান কবে চাকরি করবে সেই আশায় চেয়ে থাকে অনেক পরিবার। তাই আমাদের এই করুণ অবস্থা নিরসনে দায়িত্বশীলদের অবশ্যই তৎপর হওয়া উচিত। আমাদের এই আন্দোলন আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার লক্ষ্যে এই দাবিগুলো যথার্থ এবং যুক্তিসংগত। অতিসত্বর এগুলোর বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ করছি।”

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে করা দাবিসমূহ:

১. করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে যে সেমিস্টার লস হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে চার মাসে সেমিস্টার করে দ্রুত রিকভারি প্লান দিতে হবে।

২. রেজাল্ট, রুটিন ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।

৩. ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জুলাই এর মধ্যেই লেভেল ০২ টার্ম ০২ এবং লেভেল ০৩ টার্ম ০২ এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

৪. সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশিত করার পরপরই মার্কশিট প্রদান করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিতে পারে এবং প্রতি সাব্জেক্টে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা ও পরীক্ষার ফি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০০-৩০০ টাকায় নিয়ে আসতে হবে।

৫. সব কলেজের অধ্যক্ষসহ একজন করে শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করতে হবে, যাতে কলেজগুলোর পরীক্ষার সময়সূচী, রেজাল্ট, মার্কশীট ও অন্যান্য বিষয়ে বোর্ড দ্রুত এবং কার্যকর ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারে এবং তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ না থাকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সেশনজট নিরসন ও দ্রুত পরীক্ষাসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

Update Time : ১২:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

সাবাইম ইসলাম জীম, বুটেক্স প্রতিনিধি:

সেশনজট নিরসন এবং দ্রুত পরীক্ষাসহ ৫ দফা দাবিতে সম্মিলিত মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) অধিভুক্ত সকল সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে বুটেক্স অধিভুক্ত ৭ টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাস এবং এর আশেপাশের এলাকায় মানবন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

চট্টগ্রাম, পাবনা, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, বরিশাল, টাঙ্গাইল, নরসিংদী এবং গোপালগঞ্জে অবস্থিত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মসূচি।

৪ মাসে সেমিস্টার শেষ করা, সময়মতো রেজাল্ট, রুটিন ইত্যাদি প্রকাশ করা, দ্রুততম সময়ে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া, পরীক্ষার ফি কমানো, নিজেদের অধিকার রক্ষা ইত্যাদি দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল পালন করেন। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিসংবলিত বিভিন্ন ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিসমূহের ভিত্তিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অফিসিয়ালি মিটিং করে এজেন্ডা ও মিটিং পরবর্তী গৃহীত কার্যকর পদক্ষেপসমূহ স্মারক নম্বরসহ বিজ্ঞপ্তি আকারে দ্রুত DOT এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার দাবি জানান।

এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বর্জন করা হবে সকল অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা।

শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী “মোঃ মোক্তার হোসেন” বিডি সমাচার ২৪ কে জানান, “আমাদের অধিভুক্ত কলেজগুলোর বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সময় পেরিয়ে গেলেও স্নাতক শেষ না হওয়ায় পরিবারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। লেখাপড়া শেষ করে সন্তান কবে চাকরি করবে সেই আশায় চেয়ে থাকে অনেক পরিবার। তাই আমাদের এই করুণ অবস্থা নিরসনে দায়িত্বশীলদের অবশ্যই তৎপর হওয়া উচিত। আমাদের এই আন্দোলন আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার লক্ষ্যে এই দাবিগুলো যথার্থ এবং যুক্তিসংগত। অতিসত্বর এগুলোর বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ করছি।”

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে করা দাবিসমূহ:

১. করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে যে সেমিস্টার লস হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে চার মাসে সেমিস্টার করে দ্রুত রিকভারি প্লান দিতে হবে।

২. রেজাল্ট, রুটিন ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।

৩. ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জুলাই এর মধ্যেই লেভেল ০২ টার্ম ০২ এবং লেভেল ০৩ টার্ম ০২ এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

৪. সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশিত করার পরপরই মার্কশিট প্রদান করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিতে পারে এবং প্রতি সাব্জেক্টে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা ও পরীক্ষার ফি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০০-৩০০ টাকায় নিয়ে আসতে হবে।

৫. সব কলেজের অধ্যক্ষসহ একজন করে শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করতে হবে, যাতে কলেজগুলোর পরীক্ষার সময়সূচী, রেজাল্ট, মার্কশীট ও অন্যান্য বিষয়ে বোর্ড দ্রুত এবং কার্যকর ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারে এবং তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ না থাকে।