বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা

  • Update Time : ০১:০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / 155

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাজারের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সংসদে কড়া সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে পড়েন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট তাকে ক্ষমতায় রাখছে কিনা এমন প্রশ্নও তুলেছেন সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ। বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও করেন তারা। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে দায়িত্ব ছাড়তে তৈরি আছেন তিনি।

সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান প্রশ্ন তোলেন, সিন্ডিকেট বাণিজ্যমন্ত্রীকে পদে রেখেছে কিনা?

সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বাণিজ্যমন্ত্রীর কর্মদক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, তদারকির অভাবে বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, সরকারের বাজেট বাড়ছে কিন্তু সংসারের বাজেট কমছে। তিনি বলেন, অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও বাংলাদেশ পারছে না। এসময় সরকারের ভেতরে দাম বৃদ্ধির সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দেয়ার দাবি জানান শামিম।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি আর অশুভ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে চলছে। এ সরকার ওয়াদা করেছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দুর্নীতি এখন নীতিতে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এখন শূন্য। জিরো টলারেন্স হয়নি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িত কি না, এমন প্রশ্ন তুলে বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরের দিনই বেড়ে যায়।

রোববার রাতে সংসদে অর্থবিল পাসের সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব বথা বলেন। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এসব সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পাঁচ দশক ধরে রাজনীতি করার পরও তাকে ব্যবসায়ীর কাতারে ফেলা দু:খজনক।

ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার কথা নাকচ করেন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে আমি পদত্যাগ করবো।

এ বছর মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৯ দশমিক ৯৪ ভাগ। অর্থাৎ একবছর আগে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ হতো, তা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে প্রায় ১১০ টাকা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা

Update Time : ০১:০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাজারের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সংসদে কড়া সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে পড়েন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট তাকে ক্ষমতায় রাখছে কিনা এমন প্রশ্নও তুলেছেন সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ। বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও করেন তারা। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে দায়িত্ব ছাড়তে তৈরি আছেন তিনি।

সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান প্রশ্ন তোলেন, সিন্ডিকেট বাণিজ্যমন্ত্রীকে পদে রেখেছে কিনা?

সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বাণিজ্যমন্ত্রীর কর্মদক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, তদারকির অভাবে বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, সরকারের বাজেট বাড়ছে কিন্তু সংসারের বাজেট কমছে। তিনি বলেন, অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও বাংলাদেশ পারছে না। এসময় সরকারের ভেতরে দাম বৃদ্ধির সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দেয়ার দাবি জানান শামিম।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি আর অশুভ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে চলছে। এ সরকার ওয়াদা করেছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দুর্নীতি এখন নীতিতে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এখন শূন্য। জিরো টলারেন্স হয়নি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িত কি না, এমন প্রশ্ন তুলে বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরের দিনই বেড়ে যায়।

রোববার রাতে সংসদে অর্থবিল পাসের সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব বথা বলেন। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এসব সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পাঁচ দশক ধরে রাজনীতি করার পরও তাকে ব্যবসায়ীর কাতারে ফেলা দু:খজনক।

ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার কথা নাকচ করেন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে আমি পদত্যাগ করবো।

এ বছর মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৯ দশমিক ৯৪ ভাগ। অর্থাৎ একবছর আগে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ হতো, তা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে প্রায় ১১০ টাকা।