রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়েও বড় ধাক্কা

  • Update Time : ০৬:১২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / 114

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়েও বড় ধাক্কা লেগেছে। গত এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ (৩.৯৫ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। আর আগের মাস মার্চের চেয়ে কম প্রায় ১৫ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বুধবার পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ঈদের মাস হওয়ার পরও গত এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গত বছরের এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমেছে ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই–এপ্রিল সময়ে ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের এই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এবার পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে ৩ হাজার ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। এদিকে গত মার্চ পর্যন্ত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ছিল। তবে এপ্রিল শেষে এই খাতের রপ্তানিও নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলারে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৫২ শতাংশ কম।

তবে রপ্তানিকারকরা বলছেন, বরাবরই দুই ঈদের মাসে রপ্তানি আয় কম আসে। এবার তাই হয়েছে। ২২ এপ্রিল দেশে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। এর আগে-পরে মিলিয়ে ৮-১০ দিন রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকসহ সব কারখানা বন্ধ ছিল। সে কারণে পণ্য উৎপাদন হয়নি; রপ্তানিও হয়নি। তাই এপ্রিল মাসে আয় কমেছে। তবে বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটও এই কমার কারণ বলে জানান তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়েও বড় ধাক্কা

Update Time : ০৬:১২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়েও বড় ধাক্কা লেগেছে। গত এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ (৩.৯৫ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। আর আগের মাস মার্চের চেয়ে কম প্রায় ১৫ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বুধবার পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ঈদের মাস হওয়ার পরও গত এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গত বছরের এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমেছে ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই–এপ্রিল সময়ে ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের এই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এবার পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে ৩ হাজার ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। এদিকে গত মার্চ পর্যন্ত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ছিল। তবে এপ্রিল শেষে এই খাতের রপ্তানিও নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলারে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৫২ শতাংশ কম।

তবে রপ্তানিকারকরা বলছেন, বরাবরই দুই ঈদের মাসে রপ্তানি আয় কম আসে। এবার তাই হয়েছে। ২২ এপ্রিল দেশে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। এর আগে-পরে মিলিয়ে ৮-১০ দিন রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকসহ সব কারখানা বন্ধ ছিল। সে কারণে পণ্য উৎপাদন হয়নি; রপ্তানিও হয়নি। তাই এপ্রিল মাসে আয় কমেছে। তবে বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটও এই কমার কারণ বলে জানান তারা।