ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো পারাপারে একমাত্র ভরসা, প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা
- Update Time : ০৪:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
- / 207
এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)সংবাদদাতা:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি নড়বড়ে কাঠের সাঁকো।ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পারাপারে একটু অসাবধানতায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
.
জানা যায়, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের একটি তিস্তা শাখা নদী পরিপূর্ণ হলে ব্রিজের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে খোদ্দা, চর খোদ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামের কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত খোদ্দার ক্যানেলের ( তিস্তার শাখা নদী) উপর বুড়াইল সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের খরচে নির্মাণ করেছেন একটি কাঠের সাঁকো।
.
এবারের বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাটাতনের দুই প্রান্ত ভেঙ্গে গেছে। তারপরেও থেমে নেই তাদের নিত্যদিনের চলাচল।ক্রমেই নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে কাঠের সেতুটি। একটু অসাবধানতায় প্রায় প্রতিদিনই পথচারী, বাই-সাইকেল, মোটর সাইকেল আরোহী, পণ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে যান।
.
এছাড়া অতিকষ্টে চলাচল করে রিক্সাভ্যানসহ অন্য যান। এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিন আমাদের গোটা চরাঞ্চলবাসীসহ বিভিন্ন এলাকার পথচারীরা এই ভাঙ্গা সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত পারাপার করেন।
.
যদি সাঁকোটি ভেঙ্গে গেলে পুনরায় তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। এ ছাড়া হাজারও স্কুল, মাদরাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর উপর দিয়ে। ফলে সেখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।