সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলার দাবি ঢাবি ছাত্রলীগের

  • Update Time : ০৪:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 177

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহে হল খোলার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ফেসবুকে লিখেছেন, ৫ অক্টোবর নয়,সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। তাহলে শিক্ষার্থীদেরকে অক্টোবরের আবাসন বাবদ বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে, ঢাবি প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ,পরিবেশ পরিষদের মিটিংএ এই দাবি করেছি আবার ও বলছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বাদ দেন!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল দাবি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন,

অক্টোবরের ৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার সিদ্ধান্ত সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। ২৭ সেপ্টেম্বরের পর হল খোলার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব বিষয় এবং বাসা ভাড়া সহ শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলাই অভিভাবকসুলভ হত।

মহামারী চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অনলাইন শিক্ষা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করাসহ বৃহত্তর স্বার্থে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করেছে, অথচ হল খোলার সময়সূচী নির্ধারণে ছাত্রদের সমস্যাকে বিবেচনায় নেয়া হয় নি। পরিবেশ পরিষদে ছাত্র সংগঠনগুলোর মতামত অযৌক্তিকভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলা চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা

প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার শর্তে ৫ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।

তবে এই সুপারিশকে ‘অবিবেচক’ এবং ‘অভিভাবকসুলভ’ নয় বলছেন শিক্ষার্থীরা। তারা চাইছেন, সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহ থেকেই হল খুলে দেয়া হোক।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই হল খোলার সুপারিশ করত তাহলে তারা সেপ্টেম্বর মাসেই বাসা ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু ৫ অক্টোবর হওয়ায় এখন তাদের পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সেপ্টেম্বরেই হল খুলবে ভেবে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বাসার মালিককে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এই মাসেই বাসা ছেড়ে দিবেন। কিন্তু পাঁচ তারিখ থেকে হল খোলা হলে এই পাঁচ দিন শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবেন?

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানিমুল ইসলাম চৌধুরী ইরফান বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, কিন্তু সিদ্ধান্ত তো অভিভাবকসুলভ না। পাঁচটা দিন এগিয়ে আনলে তো আহামরি সমস্যা হতো না।

‘শুধু নিজেদের প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, শিক্ষার্থীদের কথা ভাবলও না। এই পাঁচটা দিনের জন্য শিক্ষার্থীদের কত টাকা গুনতে হবে, সেটা তাদের জানা আছে?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্লজ্জ সিদ্ধান্তের প্রতি ধিক্কার জানাই। আপনারা নিজেদের যদি অভিভাবক মনে করেন তাহলে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিন। হল সবার জন্য খুলে দেয়া হোক এবং সেটা সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই। দয়া করে এক সপ্তাহের জন্য শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলবেন না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সুপারিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।

Please Share This Post in Your Social Media


সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলার দাবি ঢাবি ছাত্রলীগের

Update Time : ০৪:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহে হল খোলার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ফেসবুকে লিখেছেন, ৫ অক্টোবর নয়,সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। তাহলে শিক্ষার্থীদেরকে অক্টোবরের আবাসন বাবদ বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে, ঢাবি প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ,পরিবেশ পরিষদের মিটিংএ এই দাবি করেছি আবার ও বলছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বাদ দেন!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল দাবি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন,

অক্টোবরের ৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার সিদ্ধান্ত সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। ২৭ সেপ্টেম্বরের পর হল খোলার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব বিষয় এবং বাসা ভাড়া সহ শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলাই অভিভাবকসুলভ হত।

মহামারী চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অনলাইন শিক্ষা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করাসহ বৃহত্তর স্বার্থে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করেছে, অথচ হল খোলার সময়সূচী নির্ধারণে ছাত্রদের সমস্যাকে বিবেচনায় নেয়া হয় নি। পরিবেশ পরিষদে ছাত্র সংগঠনগুলোর মতামত অযৌক্তিকভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলা চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা

প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার শর্তে ৫ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।

তবে এই সুপারিশকে ‘অবিবেচক’ এবং ‘অভিভাবকসুলভ’ নয় বলছেন শিক্ষার্থীরা। তারা চাইছেন, সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহ থেকেই হল খুলে দেয়া হোক।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই হল খোলার সুপারিশ করত তাহলে তারা সেপ্টেম্বর মাসেই বাসা ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু ৫ অক্টোবর হওয়ায় এখন তাদের পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সেপ্টেম্বরেই হল খুলবে ভেবে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বাসার মালিককে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এই মাসেই বাসা ছেড়ে দিবেন। কিন্তু পাঁচ তারিখ থেকে হল খোলা হলে এই পাঁচ দিন শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবেন?

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানিমুল ইসলাম চৌধুরী ইরফান বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, কিন্তু সিদ্ধান্ত তো অভিভাবকসুলভ না। পাঁচটা দিন এগিয়ে আনলে তো আহামরি সমস্যা হতো না।

‘শুধু নিজেদের প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, শিক্ষার্থীদের কথা ভাবলও না। এই পাঁচটা দিনের জন্য শিক্ষার্থীদের কত টাকা গুনতে হবে, সেটা তাদের জানা আছে?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্লজ্জ সিদ্ধান্তের প্রতি ধিক্কার জানাই। আপনারা নিজেদের যদি অভিভাবক মনে করেন তাহলে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিন। হল সবার জন্য খুলে দেয়া হোক এবং সেটা সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই। দয়া করে এক সপ্তাহের জন্য শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলবেন না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সুপারিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।