ঢাবিতে ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ মুছে লেখা হল ‘চির উন্নত মম শির’
- Update Time : ০৯:২৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 35
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের গার্ডারে লেখা ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ লেখাটি মুছে দিয়ে এর জায়গায় ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে দেওয়া হয়েছে। x
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী লেখাটি মুছে দিয়ে সেখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত নতুন পঙ্ক্তি লেখেন।
এই কাজে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের একজন হলেন এস. এম. এহসান উল্লাহ (ধ্রুব)। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলে ফ্যাসিবাদের দলীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ লেখা ছিল। স্বৈরাচার তার অস্তিত্ব বিভিন্নভাবে মানুষের মনস্তত্ত্বে ঢুকিয়ে দিতে চায়। তারই প্রতীক হিসেবে ক্যাম্পাসের সব থেকে দৃশ্যমান স্থানে ছিল এই লেখা। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের সকল সিম্বলিক নিদর্শনগুলোকে মুছে ফেলতে চাই। যেন স্বৈরাচার কোনোভাবেই পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
ধ্রুব বলেন, আমরা তারই অংশ হিসেবে ‘জয় বাংলা’ লেখাটি মুছে দিয়ে সেখানে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার অমর পঙ্ক্তি ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে দিয়েছি। এই লেখার মাধ্যমে আমরা সবাইকে বারবার মনে করিয়ে দিতে চাই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করে না। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এ-ও তা পুনরায় প্রমাণিত। সুতরাং ভবিষ্যতেও যদি কোন ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মাথা উঁচু রেখে প্রতিবাদ জারি রাখবে।
এর আগে তারা ১৭ আগস্ট লেখাটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নিলেও দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ১৭ আগস্ট রাত থেকে এ কাজ শুরু করি। কিন্তু পরে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ফলে আমাদের কাজটা পিছিয়ে যায়। আজ দুপুরে আমরা কাজটি শেষ করতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলো থেকে ছাত্রলীগের লেখা মুছে দিয়ে সেখানে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি আঁকা হয়। সেদিন টিএসসির ভেতরে থাকা ‘ভয় কি পদাতিক’ লেখাটিও মুছে দেওয়া হলেও অধিক উচ্চতায় মেট্রোরেলের গার্ডারে ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ লেখাটি মুছতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।