কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা : ঢাবিতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি

  • Update Time : ১১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / 38

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল পুরো ভারত। কলকাতার সেই ঘটনার প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে এবং বাংলাদেশে তনু ও মুনিয়াসহ ঘটে যাওয়া প্রতিটি ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে মৌমিতার মতো প্রতিটি ধর্ষণ ও হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ।

রাত ১০টার দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক ও বিশিষ্টজন তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। শুধু মৌমিতা ধর্ষণ ও হত্যা নয়, দেশেও এমন প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ১৫ দফা দাবি জানান তারা।

এ সময় তারা ‘গুঁড়িয়ে দেব পিতৃতন্ত্র, কেঁপে উঠবে রাষ্ট্রযন্ত্র,’ ‘পোশাকের বাহানায়, পার পাবে না কোনো পিশাচ’, ‘প্রশ্ন যখন স্বাধীনতার, বাংলাজুড়ে ওয়েদ্দেদার’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান।

কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সংহতি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্তমান সরকার কাজ করবে বলে জানান তিনি।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক নারী জানান, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ এবং এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে না ঘটে সেকারণে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তারা।

সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সন্ধ্যায় একই দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল এবং মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধে সঠিক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই চিকিৎসকের মরদেহ। এ ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় ভারতজুড়ে চলছে বিক্ষোভ।

পরে কলকাতার মেয়েরা শুরু করেন ‘রাত দখল’ কর্মসূচি। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতেও।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা : ঢাবিতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি

Update Time : ১১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল পুরো ভারত। কলকাতার সেই ঘটনার প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে এবং বাংলাদেশে তনু ও মুনিয়াসহ ঘটে যাওয়া প্রতিটি ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে মৌমিতার মতো প্রতিটি ধর্ষণ ও হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ।

রাত ১০টার দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক ও বিশিষ্টজন তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। শুধু মৌমিতা ধর্ষণ ও হত্যা নয়, দেশেও এমন প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ১৫ দফা দাবি জানান তারা।

এ সময় তারা ‘গুঁড়িয়ে দেব পিতৃতন্ত্র, কেঁপে উঠবে রাষ্ট্রযন্ত্র,’ ‘পোশাকের বাহানায়, পার পাবে না কোনো পিশাচ’, ‘প্রশ্ন যখন স্বাধীনতার, বাংলাজুড়ে ওয়েদ্দেদার’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান।

কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সংহতি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্তমান সরকার কাজ করবে বলে জানান তিনি।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক নারী জানান, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ এবং এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে না ঘটে সেকারণে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তারা।

সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সন্ধ্যায় একই দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল এবং মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধে সঠিক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই চিকিৎসকের মরদেহ। এ ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় ভারতজুড়ে চলছে বিক্ষোভ।

পরে কলকাতার মেয়েরা শুরু করেন ‘রাত দখল’ কর্মসূচি। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতেও।