কোটা সংস্কার আন্দোলন : রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ঢাবি
- Update Time : ০৭:০২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
- / 61
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে
চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। বহিরাগত তাড়ানোর অভিযানে এসে আহত হয়েছেন ঢাবির সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিত।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এসব ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেল ৩ টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নিতে থাকেন কোটা সংস্কারের দাবিতে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের আটকে দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ।
এদিকে পুলিশের দুটি সাঁজোয়া যান (রায়ট কার) ঢুকতে দেখা গেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে। বিকেল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে এ দুটি সাঁজোয়া যান ঢোকে ঢাবিতে। রায়ট কারগুলোর সঙ্গে দুটি অ্যাম্বুলেন্সও রয়েছে। সঙ্গে আছে ৮ ভ্যান পুলিশ। গাড়িগুলো শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেতের দিকে গেছে।
রাজধানীর চানখারপুলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুই পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
বিকেল ৩টার পর এ সংঘর্ষ বাঁধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে বিপরীত দিকে বকশীবাজারের রাস্তায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উত্তেজনার এক পর্যায়ে দুপক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মোড়ে একটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
এর আগে বেলা ২.৩০ থেকে টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগের বহিরাগত নেতা-কর্মীদের লাঠিসোঁটা হাতে মহড়া চলতে থাকলেও প্রক্টরিয়াল বডি তৎপর হয় দেড় ঘণ্টা পর। এমনকি কারা বহিরাগত, তা–ও কাউকে জিজ্ঞেস করেনি প্রক্টরিয়াল বডি। তারা সমাবেশস্থল থেকে কিছু লাঠিসোঁটা জব্দ করে সেগুলো গাড়িতে তুলে নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে চলে যায়।
বিকেল সোয়া চারটার দিকে টিএসসিতে প্রক্টরিয়াল টিম যখন মাইকিং করছিল, তখনো ছাত্রলীগের সমাবেশস্থলে মহড়া চলছিল। নেতা–কর্মীদের সবার হাতেই ছিল লাঠিসোঁটা, স্টাম্প ও কাঠ। রাজু ভাস্কর্যের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির নেতা-কর্মীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছিলেন৷
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এসব দেখেও না দেখার ভান করে প্রক্টরিয়াল বডি টিএসসি থেকে শহীদ মিনারের দিকে চলে যায়। বেলা ৪টা ২০ মিনিটের দিকে শহীদ মিনার এলাকায় গেলে সহকারী প্রক্টরের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আবিদুল ইসলাম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, প্রক্টর স্যার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে স্যার উল্টো দৌড় দেন। তখনি শিক্ষার্থীরা পেছন থেকে লাঠি মারে এবং স্যার নিচে পড়ে যান, কয়েকজন শিক্ষার্থী দৌড়ে গিয়ে তার পায়ে আঘাত করে।