কোটা সংস্কার আন্দোলন : মুখোমুখি অবস্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ

  • Update Time : ০৪:৪২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • / 44

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্য থেকে হল পাড়ায় অবস্থান নেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাহয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থান করে সেখান থেকে হুঙ্কার দেয় আর ইট মারতে দেখা যায়। আর অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্দ্যেশ্যে ইট পাটকেল মারতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা— ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। 

পরে বেলা ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল এবং বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে। এতে তিনজন আহত হন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের একটা মিছিল হল পাড়ায় গেলে একাত্তর হলের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে তিনজন আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, আজকে আমাদের আন্দোলন – প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে অতিদ্রুত সংসদে আইন তুলে কোটা সংস্কার পাশ করতে হবে। অন্যথায় আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কোটা সংস্কার আন্দোলন : মুখোমুখি অবস্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ

Update Time : ০৪:৪২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্য থেকে হল পাড়ায় অবস্থান নেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাহয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থান করে সেখান থেকে হুঙ্কার দেয় আর ইট মারতে দেখা যায়। আর অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্দ্যেশ্যে ইট পাটকেল মারতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা— ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। 

পরে বেলা ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল এবং বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে। এতে তিনজন আহত হন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের একটা মিছিল হল পাড়ায় গেলে একাত্তর হলের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে তিনজন আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, আজকে আমাদের আন্দোলন – প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে অতিদ্রুত সংসদে আইন তুলে কোটা সংস্কার পাশ করতে হবে। অন্যথায় আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।