ঢাবিতে তিন দফা দাবিতে উপাচার্য ভবনের সামনে মৈত্রীহল ছাত্রীদের অবস্থান

  • Update Time : ০৯:২২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 173

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে আসন সংকট নিরসনে তিনশ ছাত্রীকে অন্য হলে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন হলের ছাত্রীরা। 

সোমবার(১৪ আগষ্ট) দুপুর একটার দিকে তারা অবস্থান শুরু করেন।

অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মৈত্রী হল ছোট হলেও প্রতিবছর অধিক ছাত্রী এখানে অ্যালোটমেন্ট দেওয়া হয়। ফলে ছাত্রীদের অন্যান্য হলে ছয়মাসের মধ্যে বৈধ আসন পেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও আসন পাচ্ছে না।

এছাড়া ২০২০-২১, ২১-২২, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সবার আসনও অনিশ্চিত অবস্থায় আছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

অবস্থানরত ছাত্রীরা বলেন, হলের মূল ভবনে পাঁচটি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক চার হাজার টাকা প্রদান করে অবস্থান করেন। তাদের জন্য মাত্র তিনটি ওয়াশরুম রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫টি অতিথি কক্ষ, যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। তাদের জন্য মাত্র দুটি ওয়াশরুম। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। এতে তারা বর্ণনাতীত কষ্টে আছেন।  

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে :

১. মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তর করা।

২. হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী অ্যালোট দেওয়া।

৩. মূল ভবনের প্রতি রুমে ছয় শিক্ষার্থীর বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।

উল্লেখ্য, এর আগে রোববার তারা উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছে দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেন।

তারপরে সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা উপাচার্য ‘অসহযোগিতাপূর্ণ’ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন এবং অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে তিন দফা দাবিতে উপাচার্য ভবনের সামনে মৈত্রীহল ছাত্রীদের অবস্থান

Update Time : ০৯:২২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে আসন সংকট নিরসনে তিনশ ছাত্রীকে অন্য হলে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন হলের ছাত্রীরা। 

সোমবার(১৪ আগষ্ট) দুপুর একটার দিকে তারা অবস্থান শুরু করেন।

অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মৈত্রী হল ছোট হলেও প্রতিবছর অধিক ছাত্রী এখানে অ্যালোটমেন্ট দেওয়া হয়। ফলে ছাত্রীদের অন্যান্য হলে ছয়মাসের মধ্যে বৈধ আসন পেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও আসন পাচ্ছে না।

এছাড়া ২০২০-২১, ২১-২২, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সবার আসনও অনিশ্চিত অবস্থায় আছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

অবস্থানরত ছাত্রীরা বলেন, হলের মূল ভবনে পাঁচটি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক চার হাজার টাকা প্রদান করে অবস্থান করেন। তাদের জন্য মাত্র তিনটি ওয়াশরুম রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫টি অতিথি কক্ষ, যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। তাদের জন্য মাত্র দুটি ওয়াশরুম। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। এতে তারা বর্ণনাতীত কষ্টে আছেন।  

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে :

১. মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তর করা।

২. হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী অ্যালোট দেওয়া।

৩. মূল ভবনের প্রতি রুমে ছয় শিক্ষার্থীর বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।

উল্লেখ্য, এর আগে রোববার তারা উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছে দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেন।

তারপরে সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা উপাচার্য ‘অসহযোগিতাপূর্ণ’ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন এবং অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।