বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কুবিতে সংবাদকর্মীদের সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি

  • Update Time : ০৫:৪১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / 132

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।
রোববার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রথমে সমাবেশ এবং পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংবাদকর্মীরা।
সমাবেশ কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশের সঞ্চালনায় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিলো সেখানে সাংবাদিকের ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য ছিল না। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসন যেভাবে বহিষ্কার করেছে তা কোন আইন সমর্থন করে না। এছাড়াও কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের সভায় কারা ছিলেন, কীভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তারা ভেবেছিলো ইকবালকে বহিষ্কারের মাধ্যমে সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সাংবাদিকদের কলমকে বন্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব নয়। যারা সাংবাদিকতা করেন, যারা অন্যায় ও দুর্নীতিকে তুলে ধরেন তারা নিজেদের সৎ সাহস নিয়েই করেন।
দৈনিক আজকালের খবরের প্রতিনিধি মীর শাহাদাত হোসেন বলেন, সাংবাদিক রুদ্র ইকবালকে কোন আইনে বহিষ্কার করেছে তা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেরাই জানেনা। বরং ইকবাল বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের নানা অপকর্ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেসকল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন এখানে শুধুমাত্র তারই প্রতিশোধ নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকতা করার জন্য শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে প্রশাসন কাপুরুষের মতো আচরণ করেছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে এবং অনতিবিলম্বে ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যারের করতে হবে।
কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশ বলেন, সংবাদকর্মীরা সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য কাজ করে যায়। ইকবাল কোন অপরাধ করেননি। তিনি শুধুমাত্র সংবাদ প্রচার করেছেন। কিন্তু উপাচার্য ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। উপাচার্য চরমভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। আমি বলতে চাই আপনারা ভুল করেছেন সেই ভুল স্বীকার করে স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে ফিরে আসুন। রুদ্র ইকবালের উপর আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্ত প্রত্যাহার করুন। তা না হলে বাংলাদেশের সমগ্র সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলন নামতে বাধ্য হব।
দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মাহি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ভুল করেছে সে ভুলের দায় তারা স্বীকার করতে চায় না। তারা শুধু একটা কথাই বলে ‘উচ্চ পর্যায়ের সভা’। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উচ্চ পর্যায়ের সভা বলে কোনো কাঠামো নেই। তাদের এই উচ্চ পর্যায়ের সভার মাধ্যমে একটি অবৈধ, অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সিদ্ধান্ত রুদ্র ইকবালের শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করছে। অথচ কাদেরকে নিয়ে এই সভা গঠিত হয়েছে সে বিষয় প্রশাসন এখনো পরিষ্কার করে বলেনি। নিজের অপরাধকে ঢাকতে নতুন নতুন অপরাধ করছেন তিনি।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সময়ের আলোর প্রতিনিধি এবিএস ফরহাদ, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি মঈনুদ্দিন ইরফান, দৈনিক শেয়ার বিজের প্রতিনিধি শাহীন আলম, মানবজমিনের প্রতিনিধি সাঈদ হাসান, মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান, ভোরের ডাক প্রতিনিধি রকিবুল হাসান, দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী, খোলা কাগজের প্রতিনিধি হাছিবুল ইসলাম সবুজ, আমার বার্তার প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবিহ, কালবেলার প্রতিনিধি আবু শামা, সারা বাংলার প্রতিনিধি রাজিব হোসাইন, দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসাইন, আজকের দৈনিকের প্রতিনিধি তুষার ইমরান, নয়া শতাব্দীর প্রতিনিধি তানভীর সালাম অর্ণব দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, চ্যনেল অনলাইনের প্রতিনিধি ফারিহা জাহান, ডাকঘরের প্রতিনিধি শাহিন ইয়াসার, রাইজিং বিডি প্রতিনিধি নাভিদ, অধিকারপত্রের প্রতিনিধি জাহিদ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কুবিতে সংবাদকর্মীদের সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি

Update Time : ০৫:৪১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।
রোববার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রথমে সমাবেশ এবং পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংবাদকর্মীরা।
সমাবেশ কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশের সঞ্চালনায় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিলো সেখানে সাংবাদিকের ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য ছিল না। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসন যেভাবে বহিষ্কার করেছে তা কোন আইন সমর্থন করে না। এছাড়াও কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের সভায় কারা ছিলেন, কীভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তারা ভেবেছিলো ইকবালকে বহিষ্কারের মাধ্যমে সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সাংবাদিকদের কলমকে বন্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব নয়। যারা সাংবাদিকতা করেন, যারা অন্যায় ও দুর্নীতিকে তুলে ধরেন তারা নিজেদের সৎ সাহস নিয়েই করেন।
দৈনিক আজকালের খবরের প্রতিনিধি মীর শাহাদাত হোসেন বলেন, সাংবাদিক রুদ্র ইকবালকে কোন আইনে বহিষ্কার করেছে তা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেরাই জানেনা। বরং ইকবাল বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের নানা অপকর্ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেসকল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন এখানে শুধুমাত্র তারই প্রতিশোধ নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকতা করার জন্য শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে প্রশাসন কাপুরুষের মতো আচরণ করেছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে এবং অনতিবিলম্বে ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যারের করতে হবে।
কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশ বলেন, সংবাদকর্মীরা সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য কাজ করে যায়। ইকবাল কোন অপরাধ করেননি। তিনি শুধুমাত্র সংবাদ প্রচার করেছেন। কিন্তু উপাচার্য ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। উপাচার্য চরমভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। আমি বলতে চাই আপনারা ভুল করেছেন সেই ভুল স্বীকার করে স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে ফিরে আসুন। রুদ্র ইকবালের উপর আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্ত প্রত্যাহার করুন। তা না হলে বাংলাদেশের সমগ্র সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলন নামতে বাধ্য হব।
দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মাহি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ভুল করেছে সে ভুলের দায় তারা স্বীকার করতে চায় না। তারা শুধু একটা কথাই বলে ‘উচ্চ পর্যায়ের সভা’। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উচ্চ পর্যায়ের সভা বলে কোনো কাঠামো নেই। তাদের এই উচ্চ পর্যায়ের সভার মাধ্যমে একটি অবৈধ, অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সিদ্ধান্ত রুদ্র ইকবালের শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করছে। অথচ কাদেরকে নিয়ে এই সভা গঠিত হয়েছে সে বিষয় প্রশাসন এখনো পরিষ্কার করে বলেনি। নিজের অপরাধকে ঢাকতে নতুন নতুন অপরাধ করছেন তিনি।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সময়ের আলোর প্রতিনিধি এবিএস ফরহাদ, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি মঈনুদ্দিন ইরফান, দৈনিক শেয়ার বিজের প্রতিনিধি শাহীন আলম, মানবজমিনের প্রতিনিধি সাঈদ হাসান, মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান, ভোরের ডাক প্রতিনিধি রকিবুল হাসান, দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী, খোলা কাগজের প্রতিনিধি হাছিবুল ইসলাম সবুজ, আমার বার্তার প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবিহ, কালবেলার প্রতিনিধি আবু শামা, সারা বাংলার প্রতিনিধি রাজিব হোসাইন, দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসাইন, আজকের দৈনিকের প্রতিনিধি তুষার ইমরান, নয়া শতাব্দীর প্রতিনিধি তানভীর সালাম অর্ণব দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, চ্যনেল অনলাইনের প্রতিনিধি ফারিহা জাহান, ডাকঘরের প্রতিনিধি শাহিন ইয়াসার, রাইজিং বিডি প্রতিনিধি নাভিদ, অধিকারপত্রের প্রতিনিধি জাহিদ।