ডুজা’র বিবৃতি : কুবি ভিসি দুর্নীতি করাকে উৎসাহিত করেছেন

  • Update Time : ০৭:১৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / 260

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(ডুজা) মনে করে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য দেওয়া মানে তিনি দুর্নীতি করাকে উৎসাহিত করেছেন। যেটি দেশের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। সেই বক্তব্যের জন্য জাতির সামনে তার ক্ষমা
চাওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ডুজা সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

কুবি ভিসির ঐ বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালের সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

ডুজার বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীরভাবে উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে কুবি ভিসির বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, গত ২ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে দেখা যায়, উপাচার্যের বক্তব্যকে ‘বিকৃত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারে’র অভিযোগের সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী রুদ্র ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বহিষ্কারের আগে রুদ্র ইকবালের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। যেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি ওই সংবাদকর্মীর পেশা জীবনে সংঘটিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া তার শিক্ষা জীবনের উপর দেখিয়েছেন, যা কোন বিচারেই যুক্তিযুক্ত নয়। আমরা মনে করি, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের আইন না মেনে একজন সাংবাদিককে প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি করার নিকৃষ্টতম নজীর স্থাপন করলেন। তার এই হীনকর্ম স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তঃরায়। তার এই কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় আঘাত করলেন।

ডুজা’র বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এএফএম আবদুল মঈনের দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় তাকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক রুদ্র ইকবালের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।

এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা তার দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য এবং সাংবাদিককে বহিষ্কার করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আবদুল মঈনকে জাতির সামনে দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে দেশের আইন ও রীতি অনুসরণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সহ প্রশাসনের সকলের প্রতি আহবান জানাই।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গেয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ডুজা’র বিবৃতি : কুবি ভিসি দুর্নীতি করাকে উৎসাহিত করেছেন

Update Time : ০৭:১৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(ডুজা) মনে করে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য দেওয়া মানে তিনি দুর্নীতি করাকে উৎসাহিত করেছেন। যেটি দেশের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। সেই বক্তব্যের জন্য জাতির সামনে তার ক্ষমা
চাওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ডুজা সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

কুবি ভিসির ঐ বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালের সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

ডুজার বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীরভাবে উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে কুবি ভিসির বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, গত ২ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে দেখা যায়, উপাচার্যের বক্তব্যকে ‘বিকৃত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারে’র অভিযোগের সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী রুদ্র ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বহিষ্কারের আগে রুদ্র ইকবালের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। যেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি ওই সংবাদকর্মীর পেশা জীবনে সংঘটিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া তার শিক্ষা জীবনের উপর দেখিয়েছেন, যা কোন বিচারেই যুক্তিযুক্ত নয়। আমরা মনে করি, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের আইন না মেনে একজন সাংবাদিককে প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি করার নিকৃষ্টতম নজীর স্থাপন করলেন। তার এই হীনকর্ম স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তঃরায়। তার এই কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় আঘাত করলেন।

ডুজা’র বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এএফএম আবদুল মঈনের দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় তাকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক রুদ্র ইকবালের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।

এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা তার দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য এবং সাংবাদিককে বহিষ্কার করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আবদুল মঈনকে জাতির সামনে দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে দেশের আইন ও রীতি অনুসরণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সহ প্রশাসনের সকলের প্রতি আহবান জানাই।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গেয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।