লোকবল দিলে ছুটির দিনেও লাইব্রেরি খোলা রাখতে পারব: ইবি গ্রন্থাগারিক

  • Update Time : ০৭:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / 280

ইবি প্রতিনিধি:

‘পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে আমরা এ বিশাল লাইব্রেরি সপ্তাহের সাতদিন খোলা রাখতে পারছি না। লোকবল দিলে লাইব্রেরি সবদিনই খোলা রাখতে পারব।’ বুধবার (১৭ মে) বেলা ২টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন স্মারকলিপি প্রদাণকালে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক এস এম আব্দুল লতিফ এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেসময় পরপর তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন তদন্ত কমিটিই আজ পর্যন্ত কোন রিপোর্ট জমা দিতে পারে নি। এবং এটা চালু করার জন্য আমি তিনবার লিখিত দিয়েছি কোন কাজ হয়নি। কম্পিউটার গুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং চালু না করার ফলে এর আইপিএসগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখানে দক্ষ লোকবল দিলে আমি পুনরায় এর কাজ চালু করতে পারব।

বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিভিন্ন সুবিধার অপ্রতুলতা এবং শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সুগম করতে গ্রন্থাগারিককে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিকের কার্যালয়ে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

তাদের দাবিসমূহ হলো:- সপ্তাহে সাত দিন লাইব্রেরি খোলা রাখা, ব্যক্তিগত বই নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সুযোগ দান, অন্তত এক সপ্তাহের জন্য বই ইস্যু করার সুযোগ দেওয়া ও থেমে যাওয়া ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা।

তাদের উত্থাপিত দাবিসমূহের জবাবে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক আরও বলেন, আমরা ডিজিটালাইজেসনের কাজ পুনরায় চালু করতে পারলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদেরকে ডিজিটাল আইডিকার্ড দিতে পারবো এবং তারা এর সুবিধা নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরি নিচ তলায় একটি ছোট রুম বরাদ্দ আছে। ছাত্রছাত্রীরা ব্যাক্তিগত বই নিয়ে এসে সেখানে পড়তে পারে। আর এই লাইব্রেরি দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা অর্থাৎ দুইটি তলাই আইকিউএসি অফিস জায়গা নিয়ে বসে আছে। আমি লাইব্রেরিয়ান অথচ তারা আমাকে ছাদে যাওয়ার অনুমতি দেয় না। যার ফলশ্রুতিতে লাইব্রেরির ছাদে পানি জমে থাকার কারণে চারতলার বহু বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আমার দাবি যেহেতু এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভবন তৈরি হচ্ছে। যদি আইকিউএসি অফিসকে এখান থেকে স্থানান্তর করা হয়। তাহলে নিচ তলার ডিজিটাল ল্যাবটিকে উপরে স্থানান্তর করলে নিচে যে জায়গা হবে সেখানে ২০০ ছেলে-মেয়ে ব্যাক্তিগত বই নিয়ে এসেও পড়তে পারবে।

আর একসপ্তাহ বই নেয়ার ইস্যুতে গ্রন্থাগারিক বলেন, বই কেনার জন্য বরাদ্দ ৩৬লক্ষ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি ডিপার্টমেন্টেই দেয়া হয় মিনিমাম দুইকপি বই কেনার জন্য দিয়ে থাকে। এক কপি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জমা দিতে হয় আরেক কপি বিভাগগুলো তাদের সেমিনার লাইব্রেরিতে রাখে। কিন্তু আটটি বিভাগ এ অর্থ নিয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত বই দিতে পারে নি। যার ফলে অনেক বই এখানে নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


লোকবল দিলে ছুটির দিনেও লাইব্রেরি খোলা রাখতে পারব: ইবি গ্রন্থাগারিক

Update Time : ০৭:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

ইবি প্রতিনিধি:

‘পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে আমরা এ বিশাল লাইব্রেরি সপ্তাহের সাতদিন খোলা রাখতে পারছি না। লোকবল দিলে লাইব্রেরি সবদিনই খোলা রাখতে পারব।’ বুধবার (১৭ মে) বেলা ২টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন স্মারকলিপি প্রদাণকালে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক এস এম আব্দুল লতিফ এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেসময় পরপর তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন তদন্ত কমিটিই আজ পর্যন্ত কোন রিপোর্ট জমা দিতে পারে নি। এবং এটা চালু করার জন্য আমি তিনবার লিখিত দিয়েছি কোন কাজ হয়নি। কম্পিউটার গুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং চালু না করার ফলে এর আইপিএসগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখানে দক্ষ লোকবল দিলে আমি পুনরায় এর কাজ চালু করতে পারব।

বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিভিন্ন সুবিধার অপ্রতুলতা এবং শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সুগম করতে গ্রন্থাগারিককে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিকের কার্যালয়ে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

তাদের দাবিসমূহ হলো:- সপ্তাহে সাত দিন লাইব্রেরি খোলা রাখা, ব্যক্তিগত বই নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সুযোগ দান, অন্তত এক সপ্তাহের জন্য বই ইস্যু করার সুযোগ দেওয়া ও থেমে যাওয়া ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা।

তাদের উত্থাপিত দাবিসমূহের জবাবে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক আরও বলেন, আমরা ডিজিটালাইজেসনের কাজ পুনরায় চালু করতে পারলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদেরকে ডিজিটাল আইডিকার্ড দিতে পারবো এবং তারা এর সুবিধা নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরি নিচ তলায় একটি ছোট রুম বরাদ্দ আছে। ছাত্রছাত্রীরা ব্যাক্তিগত বই নিয়ে এসে সেখানে পড়তে পারে। আর এই লাইব্রেরি দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা অর্থাৎ দুইটি তলাই আইকিউএসি অফিস জায়গা নিয়ে বসে আছে। আমি লাইব্রেরিয়ান অথচ তারা আমাকে ছাদে যাওয়ার অনুমতি দেয় না। যার ফলশ্রুতিতে লাইব্রেরির ছাদে পানি জমে থাকার কারণে চারতলার বহু বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আমার দাবি যেহেতু এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভবন তৈরি হচ্ছে। যদি আইকিউএসি অফিসকে এখান থেকে স্থানান্তর করা হয়। তাহলে নিচ তলার ডিজিটাল ল্যাবটিকে উপরে স্থানান্তর করলে নিচে যে জায়গা হবে সেখানে ২০০ ছেলে-মেয়ে ব্যাক্তিগত বই নিয়ে এসেও পড়তে পারবে।

আর একসপ্তাহ বই নেয়ার ইস্যুতে গ্রন্থাগারিক বলেন, বই কেনার জন্য বরাদ্দ ৩৬লক্ষ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি ডিপার্টমেন্টেই দেয়া হয় মিনিমাম দুইকপি বই কেনার জন্য দিয়ে থাকে। এক কপি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জমা দিতে হয় আরেক কপি বিভাগগুলো তাদের সেমিনার লাইব্রেরিতে রাখে। কিন্তু আটটি বিভাগ এ অর্থ নিয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত বই দিতে পারে নি। যার ফলে অনেক বই এখানে নেই।