বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডেও বিদ্যমান ঢাকা কলেজের স্বেচ্ছাসেবীরা

  • Update Time : ১১:৩০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / 330

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম কাপড়ের মার্কেট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজার। যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ১২ ঘন্টা পর দিন পেরিয়ে রাত হলেও আগুনের লেলিহান শিখা যেন থামতেই চাইছে না।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ওয়াসাও সহ একযোগে কাজ করেছে সর্বস্থরের স্বেচ্ছাসেবী ও মানুষজন।

এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ঢাকা কলেজের স্বেচ্ছাসেবীরাও। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারাও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে, সমানভাবে কাজ করেছে সকল বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের সাথে।

ঢাকা কলেজের রোভার আরএম আতিকুর রহমান বলেন,’সকালে উঠেই শুনি রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছে। তখন দেরি না করে ইউনিটের অন্য সদস্যের সাথে যোগাযোগ করে দূর্ঘটনাস্থলে চলে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘অত্যন্ত বিভীষিকাময় পরিবেশ, ব্যবসায়ীরা সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে আমরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ অন্যান্য বাহিনীর সাথে মিলে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছি।’

স্কাউটের আরেক সদস্য আরএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সত্যি আমার দেখা স্মরণকালের অন্যতম ট্রাজেডি। মানুষের আর্তনাদ আর হাহাকারে যেন শহরটা কাঁদছে। খারাপ সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মনুষ্যত্বের পরিচয়, আমি চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর।’

ঢাকা জেলা রোভারের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ও ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক আনোয়ার মাহমুদ বলেন, ঢাকা কলেজ স্কাউট সর্বদা মানুষের সেবায় নিয়োজিত। দেশের যে কোন সংকটে তারা সর্বদা সম্মুখে থাকে। বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডেও তারা স্কাউটের নির্দেশ মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে অগুন নেভানো ও মানুষের সহযোগীতার চেষ্টা করেছে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডেও বিদ্যমান ঢাকা কলেজের স্বেচ্ছাসেবীরা

Update Time : ১১:৩০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম কাপড়ের মার্কেট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজার। যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ১২ ঘন্টা পর দিন পেরিয়ে রাত হলেও আগুনের লেলিহান শিখা যেন থামতেই চাইছে না।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ওয়াসাও সহ একযোগে কাজ করেছে সর্বস্থরের স্বেচ্ছাসেবী ও মানুষজন।

এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ঢাকা কলেজের স্বেচ্ছাসেবীরাও। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারাও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে, সমানভাবে কাজ করেছে সকল বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের সাথে।

ঢাকা কলেজের রোভার আরএম আতিকুর রহমান বলেন,’সকালে উঠেই শুনি রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছে। তখন দেরি না করে ইউনিটের অন্য সদস্যের সাথে যোগাযোগ করে দূর্ঘটনাস্থলে চলে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘অত্যন্ত বিভীষিকাময় পরিবেশ, ব্যবসায়ীরা সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে আমরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ অন্যান্য বাহিনীর সাথে মিলে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছি।’

স্কাউটের আরেক সদস্য আরএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সত্যি আমার দেখা স্মরণকালের অন্যতম ট্রাজেডি। মানুষের আর্তনাদ আর হাহাকারে যেন শহরটা কাঁদছে। খারাপ সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মনুষ্যত্বের পরিচয়, আমি চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর।’

ঢাকা জেলা রোভারের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ও ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক আনোয়ার মাহমুদ বলেন, ঢাকা কলেজ স্কাউট সর্বদা মানুষের সেবায় নিয়োজিত। দেশের যে কোন সংকটে তারা সর্বদা সম্মুখে থাকে। বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডেও তারা স্কাউটের নির্দেশ মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে অগুন নেভানো ও মানুষের সহযোগীতার চেষ্টা করেছে।’