গুচ্ছে থাকছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

  • Update Time : ০৫:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / 121

ইবি প্রতিনিধি:

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। রবিবার (১৯ মার্চ) ১২৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শুধুমাত্র একটি বিষয়েই আলোচনা হয়। আলোচনায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব তত্ত¡াবধানে ভর্তি কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা ডেকে সেখানে পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হবে। উপাচার্য স্যার আগামীকাল বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে মিটিং আছে সেখানে আমাদের সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবেন এবং এসে বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি যখন একটি ভালো সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রমের প্লাটফর্ম হবে তখন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় তাকে ওয়েলকাম করবে। প্রয়োজনে আমরা আবার অংশগ্রহণ করবো। এর আগ পর্যন্ত আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতেই ভর্তি কার্যক্রম চালাবো।

জানা যায়, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সভায় কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, অনতিবিলম্বে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা, পহেলা জুলাই নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করা, আবেদনের জন্য ন্যূনতম ফি নির্ধারণ এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ভর্তি পরীক্ষার পর শুধু ভর্তি হওয়ার জন্যই ক্যাম্পাসে আসবে বাকী কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করতে করা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এর আগে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী সভা ও সাধারণ সভায় গুচ্ছ থেকে সরে এসে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসাথে সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত পূনঃবিবেচনার দাবি জানান তারা। এসব সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে উপাচার্যকে জানানো হয়। পরে গত বুধবার আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, বিএনপিপন্থীদের জিয়া পরিষদ ও সাদা দল এবং জামায়াতপন্থীদের গ্রীন ফোরামের সাথে পৃথকভাবে আলোচনা করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় শিক্ষক সংগঠনগুলো গুচ্ছের বিপক্ষে মত দেন।

এদিকে, গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তির দাবি নিয়ে রবিবার সকাল নয়টায় বিশ^বিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গুচ্ছে থাকছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

Update Time : ০৫:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

ইবি প্রতিনিধি:

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। রবিবার (১৯ মার্চ) ১২৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শুধুমাত্র একটি বিষয়েই আলোচনা হয়। আলোচনায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব তত্ত¡াবধানে ভর্তি কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা ডেকে সেখানে পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হবে। উপাচার্য স্যার আগামীকাল বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে মিটিং আছে সেখানে আমাদের সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবেন এবং এসে বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি যখন একটি ভালো সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রমের প্লাটফর্ম হবে তখন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় তাকে ওয়েলকাম করবে। প্রয়োজনে আমরা আবার অংশগ্রহণ করবো। এর আগ পর্যন্ত আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতেই ভর্তি কার্যক্রম চালাবো।

জানা যায়, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সভায় কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, অনতিবিলম্বে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা, পহেলা জুলাই নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করা, আবেদনের জন্য ন্যূনতম ফি নির্ধারণ এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ভর্তি পরীক্ষার পর শুধু ভর্তি হওয়ার জন্যই ক্যাম্পাসে আসবে বাকী কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করতে করা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এর আগে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী সভা ও সাধারণ সভায় গুচ্ছ থেকে সরে এসে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসাথে সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত পূনঃবিবেচনার দাবি জানান তারা। এসব সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে উপাচার্যকে জানানো হয়। পরে গত বুধবার আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, বিএনপিপন্থীদের জিয়া পরিষদ ও সাদা দল এবং জামায়াতপন্থীদের গ্রীন ফোরামের সাথে পৃথকভাবে আলোচনা করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় শিক্ষক সংগঠনগুলো গুচ্ছের বিপক্ষে মত দেন।

এদিকে, গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তির দাবি নিয়ে রবিবার সকাল নয়টায় বিশ^বিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।