চবি ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ আত্মহত্যাই করেছেন, পুলিশের পর সিআইডিরও একই প্রতিবেদন
- Update Time : ১১:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 218
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুতে তাকে হত্যার কোন প্রমাণ পায়নি সিআইডি ; ছয় বছর আগে তিনি আত্মহত্যাই করেছেন জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। এরআগেও পুলিশ জানিয়েছিল দিয়াজ আত্মহত্যা করেছিল। এবার দ্বিতীয় দফার তদন্তেও সিআইডি বলছে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা আত্মহত্যাই করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রসিকিউশন শাখার পরিদর্শক জাকির হোসেন মাহমুদ জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। আগামী সপ্তাহে তা আদালতে উত্থাপন করা হবে।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ।
দিয়াজের মৃত্যুর তিন দিন পর ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে শুরু থেকেই দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করে আসছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। তখন দিয়াজের মায়ের আপত্তিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়।
মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মনসুর আলম, সহ সভাপতি আবদুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, প্রচার সম্পাদক সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান ও অপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও আরিফুল হক অপুকে আসামি করা হয়। সিআইডির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।
যদিও দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জোবাইদা সরোয়ার নিপা জানিয়েছেন, সিআইডির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন দেওয়া হবে।