ঢাবিতে ‘দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা’ বাড়াতে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা

  • Update Time : ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / 217

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষকদের ‘দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা’ বাড়াতে পাঠক্রমে শিক্ষক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া যুক্ত করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এ প্রক্রিয়ার আওতায় কোর্স শেষে শিক্ষককে ৫ পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা মূল্যায়ন করবেন। এতে শিক্ষার্থীর পরিচয় থাকবে না।

শিক্ষক মূল্যায়নের নীতিমালা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অংশ নেওয়া একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, শিক্ষক মূল্যায়নপদ্ধতি চালু হলে কোন শিক্ষক কেমন পড়ান, তাঁর কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, তিনি সময়মতো ক্লাসে যান কি না, এসবসহ সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, কোনো একটি কোর্স অধ্যয়ন শেষে শিক্ষার্থীদের একটি করে ফরম দেওয়া হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে চাওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মানদণ্ডে শিক্ষকদের পারফরম্যান্সের ওপর নম্বর দেওয়ার সুযোগ পাবেন। সেগুলোর গড় করে শিক্ষকের সামগ্রিক স্কোর নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের এসব মতামতের কথা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক জানতে পারবেন না। শুধু বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদ-ইনস্টিটিউটের প্রধানেরা এটি জানতে পারবেন।

তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষক মূল্যায়নপদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবির একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ফার্মেসি অনুষদের ডিন সীতেশ চন্দ্র বাছার।

তিনি বলেন, এটিকে আমরা ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে নিয়েছি। সারা বছর শিক্ষার্থীকে পড়ানো শেষে তাকে ঠিকভাবে পড়াতে পেরেছি কিনা, এর মাধ্যমে তা জানতে পারব। সে অনুযায়ী তারা কোথায় আমাদের ঘাটতি চিহ্নিত করেছে, তা দেখে নিজেকে সমৃদ্ধ বা সংশোধন করতে পারব। বিশ্বের অনেক দেশে এবং বাংলাদেশেরও বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রক্রিয়া চালু আছে।

সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, শিক্ষার্থী তার কোর্স অথবা বছর শেষে শিক্ষককে ৫ পয়েন্টে মূল্যায়ন করবে। ১ পয়েন্ট সর্বনিম্ন এবং ৫ পয়েন্ট ‘সবচেয়ে ভালো’ হিসেবে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, এতে শিক্ষার্থীদের পরিচয় গোপন থাকবে। এর ভিত্তিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সেটি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আগামীতে নির্ধারিত হবে। এবার শুধু মূল্যায়ন ফরমটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে ‘দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা’ বাড়াতে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা

Update Time : ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষকদের ‘দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা’ বাড়াতে পাঠক্রমে শিক্ষক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া যুক্ত করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এ প্রক্রিয়ার আওতায় কোর্স শেষে শিক্ষককে ৫ পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা মূল্যায়ন করবেন। এতে শিক্ষার্থীর পরিচয় থাকবে না।

শিক্ষক মূল্যায়নের নীতিমালা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অংশ নেওয়া একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, শিক্ষক মূল্যায়নপদ্ধতি চালু হলে কোন শিক্ষক কেমন পড়ান, তাঁর কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, তিনি সময়মতো ক্লাসে যান কি না, এসবসহ সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, কোনো একটি কোর্স অধ্যয়ন শেষে শিক্ষার্থীদের একটি করে ফরম দেওয়া হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে চাওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মানদণ্ডে শিক্ষকদের পারফরম্যান্সের ওপর নম্বর দেওয়ার সুযোগ পাবেন। সেগুলোর গড় করে শিক্ষকের সামগ্রিক স্কোর নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের এসব মতামতের কথা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক জানতে পারবেন না। শুধু বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদ-ইনস্টিটিউটের প্রধানেরা এটি জানতে পারবেন।

তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষক মূল্যায়নপদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবির একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ফার্মেসি অনুষদের ডিন সীতেশ চন্দ্র বাছার।

তিনি বলেন, এটিকে আমরা ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে নিয়েছি। সারা বছর শিক্ষার্থীকে পড়ানো শেষে তাকে ঠিকভাবে পড়াতে পেরেছি কিনা, এর মাধ্যমে তা জানতে পারব। সে অনুযায়ী তারা কোথায় আমাদের ঘাটতি চিহ্নিত করেছে, তা দেখে নিজেকে সমৃদ্ধ বা সংশোধন করতে পারব। বিশ্বের অনেক দেশে এবং বাংলাদেশেরও বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রক্রিয়া চালু আছে।

সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, শিক্ষার্থী তার কোর্স অথবা বছর শেষে শিক্ষককে ৫ পয়েন্টে মূল্যায়ন করবে। ১ পয়েন্ট সর্বনিম্ন এবং ৫ পয়েন্ট ‘সবচেয়ে ভালো’ হিসেবে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, এতে শিক্ষার্থীদের পরিচয় গোপন থাকবে। এর ভিত্তিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সেটি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আগামীতে নির্ধারিত হবে। এবার শুধু মূল্যায়ন ফরমটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।