পরীক্ষায় বসতে পারছেন না আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্র অধিকারের ৩ নেতা
- Update Time : ০৮:০১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
- / 242
ঢাবি প্রতিনিধি:
বুয়েটের নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণসভা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না। স্নাতক দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে তাদের।
তাদের মধ্যে দুজনের আজকে একটি পরীক্ষা ছিল। চলতি মাস ও আগামী মাসে তাঁদের আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা রয়েছে। আরেক নেতার একটি পরীক্ষা রয়েছে আগামী বুধবার।
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা ছাত্র অধিকার পরিষদের এই তিন নেতা হলেন- সংগঠনের ঢাকা কলেজ শাখার সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ রাকিব ও সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ হোসাইন এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মো. কাউছার। তাঁদের মধ্যে রাকিব রসায়ন ও কাউছার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আর ইউসুফ অর্থনীতি বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়েন।
আগামীকাল মঙ্গলবার(১১ অক্টোবর) ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার(৭ অক্টোবর) বিকেলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে হামলা করে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগ। হামলায় পরিষদের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে গিয়েও তাঁদের পেটায় ছাত্রলীগ। বিকেলে মেডিকেল থেকে পরিষদের নেতা-কর্মীদের আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশ।
এরপর ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান গত শুক্রবার রাতেই শাহবাগ থানায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন।
পরে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতাকর্মীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠায় শাহবাগ থানার পুলিশ।আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দলের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, রাকিব, কাউছার ও ইউসুফ তিনজনই নিয়মিত শিক্ষার্থী। অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে আজকে রাকিব ও কাউছার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, ফলে তাঁদের এক বছর লস হয়ে যাচ্ছে। আর ইউসুফ বুধবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না, তা অনিশ্চিত। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিক্ষাজীবন থেকে তাঁরা এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছে।