ছাত্রলীগ নেতার হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্চিত

  • Update Time : ১০:০৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 239

রনি আহমেদ, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের টিভি রুমে এশিয়া কাপ ফইনাল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শামীম ও একই হলের বহিষ্কৃত নেতা তাসকীফ আল তৌহিদ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গনিত বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নবাব আব্দুল লতিফ হলের ১৪০ নম্বর কক্ষের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, গতরাতে হলের টিভি রুমের প্রথম সারিতে বসে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা দেখছিলাম। তখন হলের শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা তৌহিদ আমাকে জোর করে উঠে যেতে বলে এবং আমি কোনো প্রতিবাদ না করে উঠে যায় এবং বিষটি হলের সাধারন সম্পাদক শামীম হোসেন জানায়। পরবর্তীতে রাত ১২ টার পর শামীম, তৌহিদ ও তার সহযোগীরা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং পরবর্তীতে মারধর ও হল না থাকতে দেওয়ার হুমকি দেয়।

আজ সোমবার ( ১২ই সেপ্টেম্বর,২০২২) ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর নিজের নিরাপত্তা চেয়ে এক আবেদনপত্রে এসব কথা উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেন বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। রাতে খেলা দেখার সময় টিভি রুমে একটু ঝামেলা হয়। সেখানে আমি ছিলাম না। পরে ওই ছেলে আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন সেখানে গিয়ে দেখি ওদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে গেছে। তখন আমি বিষয়টা মিমাংসা করে দেয়।

এ বিষয়ে নবাব আব্দুল লতিফ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এএইচএম মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য হলের আবাসিক শিক্ষক ড. অনিক কৃষ্ণ কর্মকারকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- আবাসিক শিক্ষক ড. হামিদুল ইসলাম ও ড. আব্দুল কাদের।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মুন্না ইসলামকে মারধরের অভিযোগে তৌহিদকে হল থেকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব শেষ হওয়াই শামীমকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন হল প্রশাসন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ছাত্রলীগ নেতার হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্চিত

Update Time : ১০:০৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

রনি আহমেদ, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের টিভি রুমে এশিয়া কাপ ফইনাল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শামীম ও একই হলের বহিষ্কৃত নেতা তাসকীফ আল তৌহিদ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গনিত বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নবাব আব্দুল লতিফ হলের ১৪০ নম্বর কক্ষের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, গতরাতে হলের টিভি রুমের প্রথম সারিতে বসে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা দেখছিলাম। তখন হলের শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা তৌহিদ আমাকে জোর করে উঠে যেতে বলে এবং আমি কোনো প্রতিবাদ না করে উঠে যায় এবং বিষটি হলের সাধারন সম্পাদক শামীম হোসেন জানায়। পরবর্তীতে রাত ১২ টার পর শামীম, তৌহিদ ও তার সহযোগীরা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং পরবর্তীতে মারধর ও হল না থাকতে দেওয়ার হুমকি দেয়।

আজ সোমবার ( ১২ই সেপ্টেম্বর,২০২২) ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর নিজের নিরাপত্তা চেয়ে এক আবেদনপত্রে এসব কথা উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেন বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। রাতে খেলা দেখার সময় টিভি রুমে একটু ঝামেলা হয়। সেখানে আমি ছিলাম না। পরে ওই ছেলে আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন সেখানে গিয়ে দেখি ওদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে গেছে। তখন আমি বিষয়টা মিমাংসা করে দেয়।

এ বিষয়ে নবাব আব্দুল লতিফ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এএইচএম মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য হলের আবাসিক শিক্ষক ড. অনিক কৃষ্ণ কর্মকারকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- আবাসিক শিক্ষক ড. হামিদুল ইসলাম ও ড. আব্দুল কাদের।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মুন্না ইসলামকে মারধরের অভিযোগে তৌহিদকে হল থেকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব শেষ হওয়াই শামীমকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন হল প্রশাসন।