ঢাবিতে মারধরের কথা স্বীকার করে প্রকাশ্যে দু:খ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা ছাত্রলীগ কর্মীদের
- Update Time : ০৭:৫১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
- / 183
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার পর হামলার শিকার হন ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যরা।
আজ সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
এ সময় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাড়াও ছাত্র অধিকার পরিষদ ও শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চারের (স্যাট) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের দাবি, মারধরের ঘটনায় জড়িতদের ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন ভুক্তভোগীরা। এর পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির সামনের ফুটপাতে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাবির দপ্তর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত এবং অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান। এ দুজন স্যাটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও আছেন।
আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হেদায়েত উল্লাহ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল তুষার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইত্তেজা হোসেন রাকিব, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাসুরুর রুদ্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সুমন আলী, এফ রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী রোকনুজ্জামান রোকন।
তাদের সকলেই এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মীদের পক্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইত্তেজা হোসেন রাকিব বলেন, সেদিন আমাদের এক বন্ধুকে মারধর করা হচ্ছে বলে একটি ভুল তথ্য পাই। পরে জাতীয় কবির সমাধির সামনে পৌঁছালে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সালেহউদ্দিন সিফাত ও আহনাফ সাঈদকে আঘাত করে বসি। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করিনি।
তারা আরও বলেন, এর দায় সম্পূর্ণ আমাদের, ছাত্রলীগের নয়। আজ এখানে এসে দুঃখ প্রকাশ করতে ছাত্রলীগ থেকে আমাদের কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি। আমরা ব্যক্তি উদ্যোগে এখানে এসেছি।
স্যাটের প্রতিনিধি আনাস ইবনে মুনির বলেন, আমরা এ ঘটনা মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করেছেন ও ভবিষ্যতে এমন কিছু না করার কথা দেওয়ায় আমরা মামলা করা থেকে বিরত থাকছি।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন এটিকে একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। আশা করি, ভবিষ্যতে তারা তো নয়ই, কোনো ছাত্রলীগ কর্মী ক্যাম্পাসের কোনো শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করবেন না।