৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাবির জিয়া হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি
- Update Time : ০৯:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
- / 215
জাননাহ,ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বিল্লাল হোসেনের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে এ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, ‘সিফাত ও আহনাফকে যারা মেরেছে, তাদেরকে শনাক্ত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী মিফতাহুল মারুফ সমাবেশে পুরো ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘মেসেঞ্জার গ্রুপে লেখা আমার সাধারণ একটি কথাকে ইস্যু করে হলের ছাত্রলীগ নেতারা আমাকে হল প্রশাসনের কাছে নিয়ে যান। প্রাধ্যক্ষ স্যার কোনো কিছু যাচাই না করেই আমাকে শাহবাগ থানা পুলিশে দিয়ে দেন। বন্ধু, সিনিয়র, জুনিয়র ও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্টদের প্রচেষ্টায় আমি মুক্তি পেয়েছি। এমন অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার যেন আর কাউকে না হতে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
মিফতাহুল মারুফ বলেন, ‘আখতার হোসেন ভাই যখন আমার সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তাকে আমি বলেছি- ঠিক আছি। আমাকে শারীরিক নির্যাতন না করা হলেও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এমন অবিচারের অবসান চাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাহিত্য সম্পাদক জাহিদ আহসান এ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। এ সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন ।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী মিফতাহুল মারুফ। এর জেরে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম’ ও ‘জঙ্গিবাদে’ জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বিল্লাল হোসেন। অবশ্য কিছুক্ষণ পরই ওই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
শাহবাগ থানা পুলিশ জানায়, যে অভিযোগে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের কারও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাও পায়নি পুলিশ।
এদিকে এদিকে পদত্যাগের দাবি উঠলেও এ নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার তাঁদের আছে৷ এখানে আমার কিছু বলার নেই৷ আমি যেটা করেছি, আমার কাছে মনে হয় যে সঠিক পথেই কাজটা করেছি৷ সংশ্লিষ্ট তিনজন শিক্ষককে পাঠিয়ে বিষয়গুলো দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ তাঁর (মেফতাহুল) বিরুদ্ধে অভিযোগটা এখনো তদন্তাধীন আছে৷’ তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের (ইসলামী ছাত্রশিবির) সঙ্গে এই ছাত্রের সম্পৃক্ততা আছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই৷
মেফতাহুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নন বলে জানান প্রাধ্যক্ষ৷ প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘শিক্ষকেরা যখন (গতকাল) তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, সে (মেফতাহুল) কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করেনি৷ কথাবার্তা এমন ছিল যে সে কোনো বিষয় লোকানোর চেষ্টা করছে।’