ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা কলেজের হলে থাকছে শিক্ষার্থীরা

  • Update Time : ০৬:০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • / 309

মুজাহিদ, ঢাকা কলেজঃ 

ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ শিক্ষা ক্ষেত্রে যতটা না এগিয়ে নিরাপদ আবাসন ক্ষেত্রে এখনও ঠিক ততটাই পিছিয়ে। এসব অনিরাপদ হল গুলাতে অনেকটা জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রুমের দেওয়াল ও ছাদ থেকে খুলে পড়ছে পলেস্তার। শিক্ষার্থীদের বিছানায় পড়ে আছে ইট-বালুর আস্তর। পলেস্তারা খুলে বের হয়ে আছে বিম ও ছাদের রড।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দেয়ালে পড়েছে শেওলা। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা দেয়ালে লাগিয়েছে রঙিন পেপার ও পত্রিকার কাগজ। এমনই চিত্র ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসগুলোর।
এসব ঝুকিপূর্ণ হলরুম থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সেখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এসব বিষয়ে উত্তর ছাত্রাবাসের ১২০ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. সজিব চৌধুরী বলেন,”এই রুমের ছদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ,প্রতি নিয়তই দেখা যায় সিমেন্ট বা ইটের টুকরা ভেঙে পড়ছে, এমন সমস্যা শুধু এই রুমে না ববং অনেক রুমেই আছে।”
এই শিক্ষার্থী আরো বলেন,” সম্প্রীতি এই রুমের এক শিক্ষার্থীর উপর ঘুমন্ত অবস্থায় ছাদ থেকে সিমেন্ট ও পলেস্তার খসে পড়ে, অল্পের জন্য কোন বড় দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পায় সে।”

উত্তর ছাত্রাবাসের এসব সমস্যার বিষয়ে হল তত্বাবধায়ক ওবায়দুর করিম বলেন,” প্রতিবছর আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে যে পরিমান অর্থ পাই তা দিয়ে আমাদের হল কেন্দ্রীক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি কিন্তু এই অর্থ আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট না। এবছরও বাজেট থেকে যে অর্থ পাবো তা দিয়ে আগামীতে হলের সংস্কার ও মেরামত কার্যক্রম গুলা সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।”

তিনি আরো বলেন,” আমাদের একটা মেগা পরিকল্পনা আছে এবং সে অনুযায়ী আমরা শিক্ষা সচিব বরাবর আবেদন করেছি, যেখানে আমাদের পুরাতন হল ভেঙে সেখানে নতুন দশ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ছাত্রাবাস তৈরীর অনুমোদন হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের হল সমস্যা অনেকটাই নিরসন হবে।”

আবাসন সমস্যার সার্বিক বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন,” আমি ইতোমধ্যে এবিষয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছি, আমরা ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করছি এরপর মাননীয় সচিব মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক এখানকার সাইট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বসে কি কি কাজ তারা বরাদ্দ দিয়েছেন, কি কি কাজ চলমান আছে এবং নতুন করে কি কি কাজ করবে এবিষয়ে একটা পরিকল্পনা করা হবে। এছাড়া যে বিষয়গুলা জরুরি সেগুলা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা কলেজের হলে থাকছে শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৬:০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

মুজাহিদ, ঢাকা কলেজঃ 

ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ শিক্ষা ক্ষেত্রে যতটা না এগিয়ে নিরাপদ আবাসন ক্ষেত্রে এখনও ঠিক ততটাই পিছিয়ে। এসব অনিরাপদ হল গুলাতে অনেকটা জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রুমের দেওয়াল ও ছাদ থেকে খুলে পড়ছে পলেস্তার। শিক্ষার্থীদের বিছানায় পড়ে আছে ইট-বালুর আস্তর। পলেস্তারা খুলে বের হয়ে আছে বিম ও ছাদের রড।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দেয়ালে পড়েছে শেওলা। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা দেয়ালে লাগিয়েছে রঙিন পেপার ও পত্রিকার কাগজ। এমনই চিত্র ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসগুলোর।
এসব ঝুকিপূর্ণ হলরুম থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সেখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এসব বিষয়ে উত্তর ছাত্রাবাসের ১২০ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. সজিব চৌধুরী বলেন,”এই রুমের ছদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ,প্রতি নিয়তই দেখা যায় সিমেন্ট বা ইটের টুকরা ভেঙে পড়ছে, এমন সমস্যা শুধু এই রুমে না ববং অনেক রুমেই আছে।”
এই শিক্ষার্থী আরো বলেন,” সম্প্রীতি এই রুমের এক শিক্ষার্থীর উপর ঘুমন্ত অবস্থায় ছাদ থেকে সিমেন্ট ও পলেস্তার খসে পড়ে, অল্পের জন্য কোন বড় দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পায় সে।”

উত্তর ছাত্রাবাসের এসব সমস্যার বিষয়ে হল তত্বাবধায়ক ওবায়দুর করিম বলেন,” প্রতিবছর আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে যে পরিমান অর্থ পাই তা দিয়ে আমাদের হল কেন্দ্রীক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি কিন্তু এই অর্থ আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট না। এবছরও বাজেট থেকে যে অর্থ পাবো তা দিয়ে আগামীতে হলের সংস্কার ও মেরামত কার্যক্রম গুলা সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।”

তিনি আরো বলেন,” আমাদের একটা মেগা পরিকল্পনা আছে এবং সে অনুযায়ী আমরা শিক্ষা সচিব বরাবর আবেদন করেছি, যেখানে আমাদের পুরাতন হল ভেঙে সেখানে নতুন দশ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ছাত্রাবাস তৈরীর অনুমোদন হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের হল সমস্যা অনেকটাই নিরসন হবে।”

আবাসন সমস্যার সার্বিক বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন,” আমি ইতোমধ্যে এবিষয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছি, আমরা ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করছি এরপর মাননীয় সচিব মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক এখানকার সাইট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বসে কি কি কাজ তারা বরাদ্দ দিয়েছেন, কি কি কাজ চলমান আছে এবং নতুন করে কি কি কাজ করবে এবিষয়ে একটা পরিকল্পনা করা হবে। এছাড়া যে বিষয়গুলা জরুরি সেগুলা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো।”