ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে, কর্মবিরতির আল্টিমেটাম ইচিপের
- Update Time : ১০:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
- / 191
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম ডাক্তার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। তিনি ঢাকা মেডিকেলের সায়কিয়াট্রি বিভাগে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। ভুক্তভোগী চিকিৎসক এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি বলে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে বসেছিলাম। তখন কয়েকজন এসে জিজ্ঞেস করে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা৷ তাদেরকে জানাই আমি ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক৷ তারা আইডি কার্ড দেখাতে বলে৷ আমার কাছে আইডি ছিল না। আমি বলি ক্যাম্পাসের পাশেইতো আসছি। আইডি কার্ড ব্যাগে। সঙ্গে করে নিয়ে আসিনি। একথা বলার পর তারা ৩-৪টি থাপ্পড় মারে। থাপ্পড়ের কারণ জিজ্ঞেস করলে দ্বিতীয় দফায় যতক্ষণ পারে মারধর করে। এতে মাথায় ও কানের নিচে নাকে আঘাত পাই। পরে আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমাকে লাথি মারে। মাথায় স্যান্ডেলের মাটি লেগে থাকতে দেখি।
মারধরকারী কাউকে চেনেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কাউকে চিনতে পারি নি। তারা ঢাবি শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছে। তাদের পরনে ঢাবির লোগোসহ টি-শার্ট ছিল। তাদের দেখে মাদকাসক্ত মনে হচ্ছিল বলে জানান ডা. সাজ্জাদ।
এ দিকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)।
মঙ্গলবার(৯ আগষ্ট) একটি প্রতিবাদ লিপিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাবির কতিপয় ছাত্র কর্তৃক শহীদ মিনার-প্রাঙ্গণে বিনা উষ্কানিতে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো: সাজ্জাদ হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ বাধ্য থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁর কাছে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।