প্রধানমন্ত্রীর কাছে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা দীপ হত্যার বিচার চাইলেন তার বাবা

  • Update Time : ১১:৫৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • / 186

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আরিফ রায়হান দিপ বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দিপ। মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিপক্ষে সোচ্চার হওয়ায় ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে দিপ’কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে বুয়েটের ধর্মান্ধ মৌলবাদী ছাত্র মেজবাহ উদ্দিন। হাসপাতালে ৮৪ দিন কোমায় থাকার পরে একই বছরের ২ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন দিপ। এরপর থেকে ২ জুলাই কে ‘শহীদ আরিফ রায়হান দিপ দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এ উপলক্ষে আজ সকালে বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে স্থাপিত দিপের ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ। এসময় সেখানে দিপের বাবার উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও আজ বিকেলে বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে দিপের স্মৃতিতে ভার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল আলোচনায় আরিফ রায়হান দিপের বাবাও অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘বুয়েটে গেলে দিপের ঘ্রাণ পাই এখনো। দিপকে কবর দিয়েছি ঠিকই কিন্ত আমার দিপ জেগে আছে ছাত্রলীগের আরো হাজার সন্তানের বুকে। আক্ষেপ একটাই- সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমি এখনো দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সন্তানের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আতাউল মাহমুদ, মনিরুজ্জামান মোহন, কাজী খায়রুল বাশার, হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মনিরুজ্জামান মনির, রনক আহসান, তন্ময় আহমেদ, রোদসী আলমগীর, এম এ সাইদ, তানভীর মাহমুদুল হাসান, ইমরান খান, ইমরুল কায়েস রাফি, জয় প্রকাশ, আরিফুর রহমান, সফিউল আলম, তরফদার মাহমুদ, মুন্সী আব্দুস সালেক প্রমুখ। বক্তারা মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহবান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media


প্রধানমন্ত্রীর কাছে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা দীপ হত্যার বিচার চাইলেন তার বাবা

Update Time : ১১:৫৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আরিফ রায়হান দিপ বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দিপ। মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিপক্ষে সোচ্চার হওয়ায় ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে দিপ’কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে বুয়েটের ধর্মান্ধ মৌলবাদী ছাত্র মেজবাহ উদ্দিন। হাসপাতালে ৮৪ দিন কোমায় থাকার পরে একই বছরের ২ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন দিপ। এরপর থেকে ২ জুলাই কে ‘শহীদ আরিফ রায়হান দিপ দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এ উপলক্ষে আজ সকালে বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে স্থাপিত দিপের ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ। এসময় সেখানে দিপের বাবার উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও আজ বিকেলে বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে দিপের স্মৃতিতে ভার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল আলোচনায় আরিফ রায়হান দিপের বাবাও অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘বুয়েটে গেলে দিপের ঘ্রাণ পাই এখনো। দিপকে কবর দিয়েছি ঠিকই কিন্ত আমার দিপ জেগে আছে ছাত্রলীগের আরো হাজার সন্তানের বুকে। আক্ষেপ একটাই- সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমি এখনো দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সন্তানের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আতাউল মাহমুদ, মনিরুজ্জামান মোহন, কাজী খায়রুল বাশার, হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মনিরুজ্জামান মনির, রনক আহসান, তন্ময় আহমেদ, রোদসী আলমগীর, এম এ সাইদ, তানভীর মাহমুদুল হাসান, ইমরান খান, ইমরুল কায়েস রাফি, জয় প্রকাশ, আরিফুর রহমান, সফিউল আলম, তরফদার মাহমুদ, মুন্সী আব্দুস সালেক প্রমুখ। বক্তারা মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহবান জানান।