ঢাবির শহীদুল্লাহ হলে শতবর্ষের মিলনমেলা উদযাপিত

  • Update Time : ০৯:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • / 176

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

শতবর্ষের মিলনমেলা উদযাপিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে। হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার (১৪ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়৷ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান৷

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। আরও উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন ও হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর বেপারী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহীদুল্লাহ হলের ১৯৭৫-৭৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশও অনেক উত্তপ্ত ছিল। সে সময় সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল। মার্শাল ল’ থাকায় গোপনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে হয়েছে।

হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে তিনি বলেন, শুধু একত্রিত হওয়াই নয়, এটাকে যদি আমরা সামনে এগিয়ে নিতে চাই এটার একটা আউটপুট আসতে হবে। পরের প্রজন্ম বা বর্তমানে যারা শহীদুল্লাহ হলের ছাত্র তাদের ওয়েলফেয়ারের জন্য এবং দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি কিছু করার চিন্তা করি, তাহলেই একটি কার্যকর পুনর্মিলনী করতে পারলাম। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব জানাচ্ছি।

এসময় ঢাবি উপাচার্য বলেন, সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দর্শন। তিনি সবাইকে নিয়েই আনন্দ উদযাপন করতেন, শুধু কষ্ট ভোগ করতেন নিজে এককভাবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবির শহীদুল্লাহ হলে শতবর্ষের মিলনমেলা উদযাপিত

Update Time : ০৯:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

শতবর্ষের মিলনমেলা উদযাপিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে। হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার (১৪ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়৷ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান৷

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। আরও উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন ও হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর বেপারী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহীদুল্লাহ হলের ১৯৭৫-৭৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশও অনেক উত্তপ্ত ছিল। সে সময় সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল। মার্শাল ল’ থাকায় গোপনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে হয়েছে।

হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে তিনি বলেন, শুধু একত্রিত হওয়াই নয়, এটাকে যদি আমরা সামনে এগিয়ে নিতে চাই এটার একটা আউটপুট আসতে হবে। পরের প্রজন্ম বা বর্তমানে যারা শহীদুল্লাহ হলের ছাত্র তাদের ওয়েলফেয়ারের জন্য এবং দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি কিছু করার চিন্তা করি, তাহলেই একটি কার্যকর পুনর্মিলনী করতে পারলাম। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব জানাচ্ছি।

এসময় ঢাবি উপাচার্য বলেন, সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দর্শন। তিনি সবাইকে নিয়েই আনন্দ উদযাপন করতেন, শুধু কষ্ট ভোগ করতেন নিজে এককভাবে।