ঢাবিতে মুখ ফসকে মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা: আলোচনা সভায় তোলপাড়
- Update Time : ১২:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
- / 233
ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহ।
এ নিয়ে সোচ্চার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ। পরে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেছেন, তিনি মুখ ফসকে খন্দকার মোশতাকের নাম বলে থাকতে পারেন। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন তিনি।
রোববার(১৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সভায় সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও শিক্ষকনেতা মো. রহমত উল্লাহ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী সমিতির নেতারা বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার সভা সঞ্চালনা করেন।
অধ্যাপক রহমত উল্লাহ শিক্ষক সমিতির সভাপতির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিনের দায়িত্বে আছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগে ছিলেন, তা নিয়ে আমি আলোচনা করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, ১০ এপ্রিলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রসহ সার্বিক বিষয়ে আমি আলোচনা করি। মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে বলতে গিয়ে যদি স্লিপ অব টাং কিছু বলে থাকি, তাহলে আমি দুঃখিত। ইতিহাস তো আমি তৈরি করিনি। মোশতাক বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। সে এই জাতির ভাগ্যের জন্য কলঙ্ক। তার প্রতি সম্মান জানানোর প্রশ্নই আসে না। আমি আমার বক্তব্যে তার প্রতি নিন্দা জানিয়েছি। ইতিহাসের ঘৃণিত ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিলাষ বা দুঃসাহস আমার নেই।’
তবে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, তার এ বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি অনুষ্ঠানের সভাপতির কাছে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। সভাপতি বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।
ঢাবি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অংশটুকু প্রত্যাহার করা হয়েছে। (মোশতাকের নাম) এককভাবে নয়, আরও কয়েকটা নামের সঙ্গে বোধ হয় তিনি উচ্চারণ করেছিলেন। সভায় একজন আলোচক নিজের বক্তব্যে বিষয়টি নজরে আনেন। পরে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশটুকু প্রত্যাহার করা হয়।