ফের সরব হয়ে উঠেছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

  • Update Time : ০৬:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 201

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের অব্যাহতির পর ফের সরব হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

পরে সেখানে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার স্থানে হাত দিয়ে প্রতীকী রক্তের ছাপ আঁকেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি আইআইসিটি ভবনের সামনে উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি, শটগান, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল। সেখানে নিপীড়ন ও জুলুমের বিরুদ্ধে চিরন্তন লড়াইয়ের ইশতেহার হিসেবে রক্তের হস্তছাপ আঁকা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ অন্যান্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

টানা সাতদিন পর ২৬ জানুয়ারি অনশন ভাঙেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, নাটক, খেলাধুলার মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও শুধু ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের অব্যাহতি ছাড়া আর কোনো দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফের সরব হয়ে উঠেছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৬:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের অব্যাহতির পর ফের সরব হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

পরে সেখানে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার স্থানে হাত দিয়ে প্রতীকী রক্তের ছাপ আঁকেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি আইআইসিটি ভবনের সামনে উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি, শটগান, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল। সেখানে নিপীড়ন ও জুলুমের বিরুদ্ধে চিরন্তন লড়াইয়ের ইশতেহার হিসেবে রক্তের হস্তছাপ আঁকা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ অন্যান্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

টানা সাতদিন পর ২৬ জানুয়ারি অনশন ভাঙেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, নাটক, খেলাধুলার মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও শুধু ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের অব্যাহতি ছাড়া আর কোনো দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।