২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনও হুমকি নেই বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বাহিনীর মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, এরপর কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নেওয়া হবে না। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত রয়েছে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র্যাব মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিশেষ কোনও তথ্য এখনও তাদের কাছে নেই জানিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি পালনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে অবজারভেশনে চেক পোস্টসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে র্যাব সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন। এছাড়াও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা দায়িত্বে থাকবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য বছরে মতো এ বছরও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার মধ্য রাত থেকে সারা দেশে বিভিন্ন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে। এ বছর করোনার মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য সরকারি নির্দেশনা মেনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তার ব্যাপারে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, এই এলাকায় যে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবের পক্ষ থেকে আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া র্যাবের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড শহীদ মিনার এলাকায় প্রয়োজনীয় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্ম টহলের মাধ্যমে র্যাব সদস্যরা শহীদ মিনার এলাকায় নজরদারী অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি জানান, শহীদ মিনারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্দেহজনক সব হোটেল, গেস্ট হাউস, বস্তি এবং অন্যান্য সন্দেহভাজন স্থানে তল্লাশির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। শহীদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়গুলোতে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, ব্যাগ পুষ্পস্তবক ইত্যাদি তল্লাশি করা হবে।
শহীদ মিনারে আগত নারীদের প্রয়োজনে নারী র্যাব সদস্যের দ্বারা তল্লাশি করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সিসিটিভির কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে র্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে।