এ টি এম শামসুজ্জামান এর মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর শোক

  • Update Time : ১২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 199
নিজস্ব প্রতিনিধি:
একুশে পদকপ্রাপ্ত দর্শকনন্দিত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।
.
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় মন্ত্রী জানান, দেশবরেণ্য জনপ্রিয় এ অভিনেতা তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শক হৃদয়ে দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
.
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
.

শনিবার সকাল ৯টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শামসুজ্জামান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য।

অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।

২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা।

এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এ টি এম শামসুজ্জামান এর মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর শোক

Update Time : ১২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধি:
একুশে পদকপ্রাপ্ত দর্শকনন্দিত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।
.
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় মন্ত্রী জানান, দেশবরেণ্য জনপ্রিয় এ অভিনেতা তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শক হৃদয়ে দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
.
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
.

শনিবার সকাল ৯টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শামসুজ্জামান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য।

অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।

২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা।

এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।