দুটি পাতা একটি কুঁড়িতে স্বপ্ন
- Update Time : ০১:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 193
মিঠু চন্দ্র শীল:
চায়ের পরশে বেড়ে উঠা এক তরুণ মানুষ যে পরিবেশে বেড়ে উঠে সেটাই তার জীবনকে প্রভাবিত করে।সে একটি সুনির্দিষ্ট সমাজের গন্ডির মধ্যে থাকে।এই সমাজের চারপাশের ছোঁয়া পেয়ে সে এক সময় শিশু থেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষে রুপ নেই।
.
এই ক্ষণিক সময়ের মধ্যে তাকে অনেক কাজ করতে হয় হউক সেটা নিজের উন্নয়নের জন্যে কিংবা তার সমাজের উন্নয়নের জন্যে অথবা দেশের জন্যে।আমরা আজকে এমন একজন তরুণ উদ্যোক্তা ,ছাত্রনেতা ও সংগঠকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো যিনি সকল ধরনের প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে চাবাগানের নির্মল পরিবেশে বড় হয়েছেন।
.
বলছি চাবাগানের ইয়ুথ আইকন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সন্তোষ রবি দাস অঞ্জনের কথা। নানাধরনের রীতিনীতি,নিয়ম-কানুনের এই চাবাগানের গন্ডিতে তিনিও বড় হয়েছেন।
.
অন্য আরো ৫টা সাধারণ ছেলেদের মতো।চাবাগানের পরিবেশে জন্মালেও ছোট থেকেই তার ইচ্ছে- অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন কিছু করার।ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর অসংখ্য বিষয়ের ভিড়েও সবাইকে তাক লাগিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মার্কেটিং বিভাগে।
.
বাজারজাতকরণ ও বিপণন নিয়ে পড়াশোনা,এমন একটা অসাধারণ বিষয়কে আপন করে নিয়েছেন।এরপর তৃতীয় বর্ষের শেষের দিকে দীর্ঘ ৩৮ বছর পরে অনুষ্ঠিত হওয়া ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র সমাজ সেবক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন।
.
পরিবারের পছন্দকে গুরত্ব দিয়ে,নিজের পছন্দের বিষয়কে ভালবেসে সম্মানের সহিত সম্মান শেষ করে Anjon’s এর স্বত্তাধিকারী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।এলাকার বিভিন্ন জিনিসের সুস্পষ্ট ধারণা,এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা ও এলাকার ঐতিহ্যবাহী গিফট সামগ্রী ক্যাম্পাসের পরিচিত প্রিয় মুখদেরকে গিফট হিসেবে দেওয়াটা,এই আইডিয়া উদ্যোক্তা হতে বার বার অনুপ্রেরণা জুগায়,যা বড় হয়ে এই অনুপ্রেরণার ইচ্ছাশক্তি বাস্তবায়নের নেশায় পরিণত হয়।
.
পরবর্তিকালে তিনি তার এলাকার সাতকড়া,চা ইয়ুথ ফ্যাশন এর বেচাকেনা, ট্যুর গাইড সেবা প্রদান ও বিভিন্ন ইভেন্ট প্লানার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্কিং কে এই ব্যবসায়ের উন্নয়নের জন্যে কাজে লাগিয়েছেন।তবে এই যাত্রা তার জন্যে খুব একটা সহজ ছিল না।পরিবার,আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-্প্রতিবেশি কিংবা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত তাকে তার স্বপ্ন থেকে আলাদা করতে চাইলেও তার ইচ্ছাশক্তি,দৃঢ় মনোবল ও চেষ্টার কারণে সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন তার ব্যবসায়ে সলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
.
বর্তমানে তিনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা ছাড়াও একটি বিদ্যার্থীর দৃষ্টি সঙ্ঘের সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত আছেন।সন্তোষ জানালেন,কাজের পরিধি আরো বেড়ে যায় যখন বিশ্ব বিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের যুগ্ম সচিব হিসাবে নিযুক্ত হয়। চা-বাগানের ছেলে-মেয়েদের ইউনিভার্সিটি এডমিশন টেস্ট এর জন্যে বিভিন্ন চাবাগান থেকে আসা,তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা, পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এইসব কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
.
মানুষের ইচছে,চেষ্টা আর পরিশ্রম থাকলে মানুষ অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারে,আমিও একদিন একজন এএসপি হয়ে দেশের প্রান্তিক জনগণের সেবা দিয়ে যাবো।
Tag :