রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বুয়েটে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
- Update Time : ০৮:০০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
- / 161
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছিল বুয়েট প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এ নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে বুয়েটে কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। যদিও অন্য সব ছাত্র সংগঠন বুয়েট প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম তখনই তোলে নিয়েছিল।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসিফ হোসেন রচিকে আহ্বায়ক এবং আলী আহমদকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
ছাত্রদলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে আগামী এক মাসের মধ্যে ইউনিটের পূণাঙ্গ তালিকা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে জমা দেয়ার দিতে হবে।
বুয়েটে কমিটির দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। তিনি বলেন, আমরা এই কমিটি দিয়েছি। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
একই সাথে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), ইডেন মহিলা কলেজ এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের আহ্বায়ক কমিটি (আংশিক) গঠন করেছে ছাত্রদল।
গত বছরের ১১ অক্টোবর বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বুয়েটে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার নিজ ক্ষমতায় বুয়েটের সব রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি। এখন থেকে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে ভিসি বলেন, বুয়েট অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী শিক্ষক রাজনীতিও নিষিদ্ধ। বুয়েটের শিক্ষকরা কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।