তুরস্কের সরকারি দৈনিক ডেইলি সাবাহ’র অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, জুমা নামাজ আদায়ের জন্য আজ (শুক্রবার) সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ হায়া সোফিয়ায় আসতে শুরু করেন। ১১টি চেকপোস্ট দিয়ে মুখে মাস্ক এবং আলাদা জায়নামাজসহ মুসল্লিদের হায়া সোফিয়ার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। মসজিদ চত্বরে ১৭টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয় যেখানে ৭৩৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী ১০১টি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টারের সমন্বিত একটি অ্যাম্বুলেন্স ইউনিটের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করে।
জুমা নামাজের আগে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়েরলিকায়া ঘোষণা দেন, ‘হায়া সোফিয়ার আশেপাশে সব জায়গায় মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধ মানতে নতুন কোনো মুসল্লিকে জুমার নামাজের সুযোগ দেয়া হবে না।’
গত ১০ই জুলাই তুর্কি আদালত এক রায়ে- ১৯৩৪ সালের তৎকালীন মন্ত্রী পরিষদের জাদুঘরে রূপান্তরিত করার আদেশটি রহিত করে। এরপর ১৬ই জুলাই তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তর হায়া সোফিয়া পরিচালনার জন্য সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির অধীনে দেশটির সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় হায়া সোফিয়ার সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ তদারকি করবে এবং ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তর ধর্মীয় সেবা তদারকি করবে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সূত্র ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ঘোষণা দেন, বিশ্বখ্যাত এই স্থাপনাটি মসজিদ হিসেবে খুলে দেয়া হবে ২৪ জুলাই।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে জাদুঘর থাকাকালে হায়া সোফিয়াকে বিশ্ব-ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেস্কো। ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগে ৯১৬ বছর আয়া সোফিয়া গির্জা ছিল।১৯৩৪ সালে কামাল আতাতুর্কের শাসনামলে মসজিদটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। এ সময় স্থাপনাটিতে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়।