পৌরসভার মাস্টার ড্রেন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে সৈয়দপুরের কেন্দ্রীয় শ্মশান ঘাটের প্রবেশ পথটি। এছাড়া মাটি খুঁড়ে রাখায় নদী ভাঙনের মুখেও পড়েছে শ্মশানের চুল্লি ও মন্দির।
এই অবস্থায় যেকোনো সময় তা খড়খড়িয়া নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
পৌরসভার মাস্টার ড্রেন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে সৈয়দপুরের কেন্দ্রীয় শ্মশান ঘাটের প্রবেশ পথটি। এছাড়া মাটি খুঁড়ে রাখায় নদী ভাঙনের মুখেও পড়েছে শ্মশানের চুল্লি ও মন্দির।
এই অবস্থায় যেকোনো সময় তা খড়খড়িয়া নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন করছে সৈয়দপুর পৌরসভা। গত মার্চ মাসে রাস্তাটি কেটে ফেলা হয়। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শ্মশান কমিটির সভাপতি বিকাশ পোদ্দার বলেন, গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে নির্মাণ কাজ। ফলে মরদেহ সৎকার নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। শবযাত্রা শ্মশানঘাট পর্যন্ত যেতে পারছেনা। কোনোক্রমে প্রধান সড়কে শবযাত্রা সমাপ্ত করে মরদেহ কোলে করে শ্মশানে নিতে হচ্ছে।
অসমাপ্ত কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য গত জুন মাসে পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানান তিনি।
পূজা উদযাপন কমিটি সৈয়দপুর শাখার সভাপতি রাজকুমার পোদ্দার বলেন, শ্মশানঘাটের রাস্তা কাটা ও উন্নয়ন কাজ অসমাপ্ত রাখা মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শ্মশানঘাটে কেবল মরদেহ দাহ নয়, এখানে মন্দিরে ধর্মীয় পূজা-অর্চনা হয়ে থাকে। অথচ মাটি কেটে রাখায় নদীর পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে শ্মশান ঘাটটি।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের দাবির স্বপক্ষে আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম চলছে, এ অবস্থায় কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শ্মশানঘাটের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় রাখা হবে।