নীলফামারীর তিস্তার পানি আবার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

  • Update Time : ০৬:২২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
  • / 154
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
আজও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি এযাবৎ ৫ দফায় বৃদ্ধি পেয়ে অববাহিকায় বন্যার সৃষ্টি করেছে।
.
ইতোপূর্বে ৪ দফায় বন্যা কবলিত হয়ে পরেছিল তিস্তা বেষ্টিত আশ-পাশের প্রায় ১৫টি চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল গ্রাম। সেই বন্যার পানি শুকাতে না শুকাতে আবার গতকাল থেকে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। গতকাল তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫থেকে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
.
আজও বিপদসীমার (স্বাভাবিক ৫২.৬০ সেঃমি) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মর্মে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র সুত্রে জানা গেছে। এদিকে তিস্তার বন্যায় ডিমলা উপজেলা পূর্বছাতনাই,খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি,খালিশাচাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা,ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৮ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়েছে মর্মে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান।
.
টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান চরখড়িবাড়ির টেপুর চরের প্রায় এক হাজার একশত পরিবার, পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের বসতঘরে নদীর পানি প্রবেশ করেছে।ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামার চর, ফরেস্টের চর, সোনাখুলির চর ও ভেন্ডাবাড়ি চরের প্রায় ২ হাজার পরিবারের ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ সোনাখুলি এলাকায় তিস্তা নদীর ডান তীরের প্রধান বাঁধের অদূরে ইউনিয়ন পরিষদের তৈরি করা মাটির বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
.
বাঁধের ওপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় দক্ষিণ সোনাখুলি কুঠিপাড়া গ্রামের আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গেছে। খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানায়, পূর্ববাইশ পুকুর ও ছোটখাতার পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
.
খগাখড়িবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, কিসামত ছাতনাই গ্রামের ৩ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন তার এলাকা ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
.
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসন সবসময় বন্যা কবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে। দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত খাদ্য ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীর তিস্তার পানি আবার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

Update Time : ০৬:২২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
আজও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি এযাবৎ ৫ দফায় বৃদ্ধি পেয়ে অববাহিকায় বন্যার সৃষ্টি করেছে।
.
ইতোপূর্বে ৪ দফায় বন্যা কবলিত হয়ে পরেছিল তিস্তা বেষ্টিত আশ-পাশের প্রায় ১৫টি চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল গ্রাম। সেই বন্যার পানি শুকাতে না শুকাতে আবার গতকাল থেকে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। গতকাল তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫থেকে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
.
আজও বিপদসীমার (স্বাভাবিক ৫২.৬০ সেঃমি) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মর্মে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র সুত্রে জানা গেছে। এদিকে তিস্তার বন্যায় ডিমলা উপজেলা পূর্বছাতনাই,খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি,খালিশাচাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা,ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৮ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়েছে মর্মে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান।
.
টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান চরখড়িবাড়ির টেপুর চরের প্রায় এক হাজার একশত পরিবার, পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের বসতঘরে নদীর পানি প্রবেশ করেছে।ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামার চর, ফরেস্টের চর, সোনাখুলির চর ও ভেন্ডাবাড়ি চরের প্রায় ২ হাজার পরিবারের ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ সোনাখুলি এলাকায় তিস্তা নদীর ডান তীরের প্রধান বাঁধের অদূরে ইউনিয়ন পরিষদের তৈরি করা মাটির বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
.
বাঁধের ওপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় দক্ষিণ সোনাখুলি কুঠিপাড়া গ্রামের আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গেছে। খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানায়, পূর্ববাইশ পুকুর ও ছোটখাতার পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
.
খগাখড়িবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, কিসামত ছাতনাই গ্রামের ৩ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন তার এলাকা ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
.
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসন সবসময় বন্যা কবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে। দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত খাদ্য ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।